সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  কারও নামে সুপারিশ করলে কিম্বা, কারও নামে কুত্‍সা রটিয়ে, অপপ্রচার করলে, মিলবে না পঞ্চায়েতের টিকিট। ভোটের আগে, কড়া বার্তা, বসিরহাটের তৃণমূল নেতার।



কী বলেছেন নেতা?
বসিরহাট উত্তর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক এবং চেয়ারম্যান এটিএম আবদুল্লা রনি বলেন, 'নিজের দলের নেতৃত্বদের সম্বন্ধে অবান্তর কথা যাঁরা বলছেন, মনে করছেন, তাঁদেরকে পরিচয়ে আমি তৃণমূলের টিকিটটা পেয়ে যাব, আমি মাতব্বর হব। আমরা এই দুই শিবিরের লোকেদের জন্য বলছি, যাঁরা সুপারিশ করতে আমাদের কাছে আসবেন, যে নামগুলো আমাদের কাছে সুপারিশ করবেন, আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, সেই নামগুলো প্রার্থী হবে না।'


রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। ফলে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সেভাবে আর সময় নেই। এরই মাঝে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা শোনা গেল, বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল নেতা এটিএম আবদুল্লা রনিকে।


সম্প্রতি, বসিরহাটের চাঁপাপুকুর এলাকায় ছিল তৃণমূলের সভা। সেই সভা থেকেই তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি, কারও নামে সুপারিশ, কিম্বা কোনও নেতার নামে কুত্‍সা রটালে, টিকিট তো মিলবেই না, উল্টে দলে তাঁর সম্মানের জায়গাটাও থাকবে না। এর পরে প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, 'জেলা সভাপতির নির্দেশ মতো কথা বলেছি। কর্মীদের নিয়ে দল বেঁধে আমাকে প্রার্থী করা হোক, এটা বলা যাবে না। আর দ্বিতীয়ত একে অপরকে নিয়ে সমালোচনা করলে, ঘোলাটে আবহাওয়া তৈরি করলে দল বহিষ্কার করবে। আর যাঁরা টিকিট পাবেন না, দরজা খোলা আছে, অন্য কোথাও চলে যান।'
 
বিজেপির কটাক্ষ:
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, 'এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে যাবে। তাই এ কতটা বখরা পাবে সেই প্রতিযোগিতা চলছে গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে পারবে না। সাকচুঁড়াতে গুলি চলেছে আগামী দিনে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে।'


বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দল সিস্টেমের মধ্যে চলে। দলের চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবারের সদস্য তিনি যে কথা বলেছেন দলের নির্দেশ মত কথা বলেছেন এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোন জায়গা নেই। বিজেপির কটাক্ষ তৃণমূল গুরুত্ব দেয় না।'


গত পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর ২৪ পরগনায় একচেটিয়া ভাবে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাটে প্রায় সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল। এখন দেখার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হয়।

আরও পড়ুন: নতুন বছরের আগেই সুখবর, জোকা থেকে মেট্রে চালু ডিসেম্বরেই