সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  পুকুরটি থেকে পঞ্চায়েত অফিস মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। দিনের আলোয়, প্রকাশ্যে সেই জলাশয়টিই ভরাট করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার হাড়োয়া খাসবালান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বেআইনি ভাবে পুকুর (Pond Filling) বোজানোর ঘটনা ওই এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে। তার আগে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করার জন্য বেআইনি মাটির ব্যবসা করে এবং জলাশয় ভরাট করে টাকা তুলছে তৃণমূল (TMC)। 


খাসবালান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এক কিলোমিটার দূরে থেকে হাড়োয়া নাসিরহাটি রোড। সেখানেই রাস্তার ধারে একটি জলাশয় রয়েছে। সেটিই বেআইনিভাবে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুকুর ভরাট চললেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে ব্লক নেতৃত্বরা কাটমানি খেয়ে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমাগুলি মজুত করার জন্য টাকা সংগ্রহ করছে।


রাজনৈতিক তরজা:
হাড়োয়ার বিজেপি (BJP) নেতা বিমল দাস বলেন, 'তৃণমূলের পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে ব্লক নেতৃত্বরা কাটমানি খেয়ে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমাগুলি মজুত করার জন্য অবৈধভাবে মাটির ব্যবসা ও জলাশয় ভরাট করে টাকা সংগ্রহ করছে।' হাড়োয়ার খাসবালাণ্ডার অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ সিরাজ গাজি বলেন, 'সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে তাই বিজেপি চক্রান্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করছে দলের কর্মী বা কোন নেতৃত্ব এর সঙ্গে জড়িত নয়।'


মালিকের দাবি:
যদিও জমির মালিকের দাবি, ওটা কোনও জলাশয় নয়। জমির মালিক আয়ুব আলি সর্দারের দাবি, রাস্তার ধারে পানীয় জলের পাইপ ফেটে গিয়ে ওই জমিটি জলমগ্ন হয়েছে। তাই মাটি দিয়ে জমি ভরাট করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ওই জমিটি ডাঙা জমি হিসেবেই পরিচিত, এখানে কোনও জলাশয় ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একটি অংশও জমি মালিকের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের দাবি, এখানে কোনও জলাশয় ছিল না। যদিও ভরাট করার মাটি বেআইনিভাবে আনা হচ্ছে বলে দাবি।


এ বিষয় নিয়ে হাড়োয়ার বিডিও সমীর রঞ্জন মান্না জানান, তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে তিনি দ্রুত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে নজর গ্রাম বাংলায়, রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি বরাদ্দ রাজ্য বাজেটে