নয়া দিল্লি: সকাল সকাল হাঁটতে যাওয়াটা অভ্যাস। না গেলে আবার একাধিক সমস্যা হয় তাঁর। কিন্তু সেই হাঁটতে গিয়েই যে এমন বিপত্তি বাধবে তা অবশ্য আগে জানা ছিল না। মালকিনের সঙ্গেই বেরিয়েছিল সে, কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে যে এমন কাণ্ডটি হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি কেউ।
বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, তিন বছর বয়সি পোষ্য র্যালফ মালকিন জর্জিয়া ক্রুই এর সঙ্গে সকালে অভ্যাসবশত হাঁটতে যায়। ম্যানচেস্টারের গ্রেসফোর্ডের তার সঙ্গে আরও অনেক পোষ্য কুকুরও ছিল। কিন্তু হঠাৎ তার কি মতি হয়েছিল সে মালকিনের হাত ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ব্যস, সেখানেই বিপত্তি!
এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও জর্জিয়া বলেছেন যে তাঁর মনে রয়েছে হাত ছেড়ে বেরিয়ে র্যালফ একটি ক্যাবে উঠে গিয়েছিল। যদিও সেই স্মৃতির ওপর তিনি নিজেও দ্বন্দ্বে ছিলেন। এরপর পোষ্যর খোঁজ পেতে একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। অবশেষে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার তাঁকে জর্জিয়ার হাতে তুলে দিয়ে যান।
জানা যায়, ক্যাবটিতে একটি পরিবারকে দেখে তাঁদের কোলে উঠে যায় র্যালফ। সেই পরিবারটি যাচ্ছিল বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরতে। এদিকে বাইরে তখন মারাত্মক ঠান্ডা। ফলে র্যালফকে ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে না দিয়ে তাঁরা সেখানেই তাকে রেখে দেয়। র্যালফকে দেখে দয়া হয় ট্যাক্সি চালকেরও। কিন্তু কোথায় তাঁকে রেখে আসবেন সেই চিন্তাও তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। যেখান থেকে র্যালফ উঠেছিল সেখানেই রেখে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় তাঁর চোখে পড়ে জর্জিয়ার ফেসবুক পোস্টটি।
আরও পড়ুন, অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিলেন এক প্যাকেট পাউরুটি, সঙ্গে এল জ্যান্ত ইঁদুর!
বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় যে, এরপর ওই চালকের বন্ধু জর্জিয়াকে ফোন করেন এবং জানান যে কুকুরটি পাওয়া গিয়েছে। ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১০০ মাইল ঘুরে এসে ওই ট্যাক্সি চালক র্যালফকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়। এই ঘটনার পর জর্জিয়া অবশ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি র্যালফের জন্য আইডি কার্ড, জিও-লোকেশন ডিভাইস এবং ফ্ল্যাশলাইটের ব্যবস্থা করবেন যাতে এমন কাণ্ড আর না হয়।