সমীরণ পাল, উত্তর ১৪ পরগনা: পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনার টোপ দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাল ধৃতের পরিবার। পুলিশের হাত থেকে আসামি ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), সুব্রত বক্সি এবং বনগাঁ জেলায় তৃণমূলের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভানেত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) বাগদার হরিহরপুরের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা আজমিরা মণ্ডল বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল শেঠের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানিয়েছেন, গত ১৭ এপ্রিল রাতে তাঁর বাড়ি থেকে স্বামী আতিয়ার মন্ডলকে তুলে নিয়ে যায় বাগদা থানার পুলিশ । পর দিন সকালে স্থানীয় নাসির বিশ্বাস নামে এক যুবকের কাছে আজমিরা এবং তাঁর ছেলে গেলে, নাসির তাঁদের বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী গোপা রায়ের কাছে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Coochbehar : কোচবিহারে তৃণমূলের নতুন কোর কমিটিতে নাম নেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ! শুরু বিতর্ক
ওই পরিবারের অভিযোগ, গোপা তাঁদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে আতিয়ারকে গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন বলে দাবি ওই পরিবারের। তাতে ভয় পেয়ে গোপার হাতে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন তাঁরা। যে নাসির তাঁদের সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি আসলে গোপার শাগরেদ বলে দাবি ওই পরিবারের। ওই টাকা ফেরত পেতে চেয়েই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে ওই পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার গোপা রায়ের
গোপার হাতে নগদ ১ লক্ষ টাকাই তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আতিয়ারের পরিবারের। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপা। তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই তাঁর। এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই ভুয়ো অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করুক, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি মাথা পেতে সাজা গ্রহণ করতে রাজি বলে জানিয়েছেন গোপা।