মুম্বই: নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি যখন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য হতে শুরু করেছেন, তখনও পর্যন্ত কেউ জানত না যে এই পুঁচকে ছেলেটাই একদিন বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করবে তাঁর ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে। মাত্র ষোলোতে অভিষেক, সতেরােতে প্রথম সেঞুরি, এরপর টানা ২৪ বছর। ২২ গজে একচ্ছত্র আধিপত্য। ঝুলিতে একশোর বেশি সেঞুরি, দুশো টেস্ট ম্যাচ, চৌত্রিশ হাজারের ওপর রান। তিনি অবসর নিয়েছে আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সচিন তেন্ডুলকর ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম প্রাসঙ্গিক নাম। আজ পঞ্চাশে পা দিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটার। 


এক নজরে ফিরে দেখা সচিনের সুহানা সফর 


১ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো সেঞ্চুরির মালিক। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ৪৯ ও টেস্টে ৫১টি সেঞ্চুরির মালিক মাস্টার ব্লাস্টার। মোট ৩৪, ৩৪৭ রান করেছেন। টেস্টে ১৫,৯২১ ও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ১৮,৪২৬ রান করেছেন। 


২. মাত্র ১৫ বছর বয়সে রঞ্জি অভিষেক। গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি। পরবর্তীতে ইরানি ও দলীপ ট্রফির প্রথম ম্যাচেও শতরান হাঁকিয়েছিলেন।


৩. ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক। পাকিস্তানের হয়ে সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল ওয়াকার ইউনিসেরও। ঠিক একমাস পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ওয়ান ডে ক্রিকেটেও অভিষেক।  



৪. ১৯৯০ সালে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই দেশে এই ইনিংস খেলেন সচিন।



৫. সচিনের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা একটি ইনিংস ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হাঁকানো ১৩১ বলে ১৪৩ রানের ইনিংসটি। সেই ম্যাচে টনি গ্রেগ কমেন্ট্রি বক্স থেকে বারবার বলছিলেন "কী অসাধারণ ক্রিকেটার"..


৬. ওয়ান ডে ক্রিকেটের সচিনের আরও একটি বিখ্যাত ইনিংস ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি। ওয়াসিম, ওয়াকার, শোয়েবের মতো বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপের সামনে দুর্দান্ত এই ইনিংস।


৭. ২০১০ সালে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে কমলা টুপির মালিক হন সচিন। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও  পুরো টুর্নামেন্টে ৬১৮ রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।


৮. বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে দ্বিশতরানের ইনিংস খেলেন সচিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০১০ সালে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।


৯. কেরিয়ারের সবচেয়ে স্পেশাল মুহূর্ত অবশ্যই ২০১১ বিশ্বকাপ জয়। টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।


১০. ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ১০০ তম সেঞ্চুরি হাঁকান সচিন। আজও যা বিশ্ব ক্রিকেটে বিরল। এর পরের বছরই ওয়াংখেড়েতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ক্রিকেটের ভগবান।