উত্তর ২৪ পরগনা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এবার বনগাঁর (Bangaon News) চন্দনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। বনগাঁর চন্দন বলে পরিচিত সুকান্ত ওরফে গোপাল মাহাতোর নামে বনগাঁ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীর বাবা।


টাকা নিয়ে চাকরি করে দেওযার প্রতিশ্রুতি!


শিমুলতলার বাসিন্দা প্রশান্ত কুণ্ডুর অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমিক পাশ মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে গত বছর ছয় লক্ষ টাকা নেন বনগাঁ হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক, ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী গোপাল মাহাতো। অভিযুক্ত যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি (North 24 Parganas NEws)। 


রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে এমনিতেই তরজা চলছে। তাই এই বিষয়টি সামনে আসার পরও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি-র (BJP) কটাক্ষ, শুধু চাকরি পাইয়ে দেওয়া নয়, বদলির নামেও টাকা নিয়েছেন গোপাল মাহাতো। বিচারাধীন বিষয়, আদালত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য এড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)।


আরও পড়ুন: Fuel Crisis : ' তেল নেই', রাস্তায় নামতেই পারল না শহরের গুরুত্বপূর্ণ রুটের সরকারি বাস !


এর আগে,  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর এক চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে আসে। তিনি বাগদার চন্দন।  রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন CBI আধিকারিক উপেন বিশ্বাস প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন, তবে তা ছিল পরিচয় লুকিয়েই। চন্দনকে রঞ্জন বলে অভিহিত করে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। পরে দুর্নীতি মামলায় আদালতে ডাক পড়ে তাঁর। সেখানেই জানা যায়, অভিযুক্তের নাম চন্দন। 


আরও এক চন্দনের নাম সামনে এল


উপেনবাবুর অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে চন্দনের হাতযশ ছিল এলাকায়। টাকা দিয়ে কারও চাকরি হয়নি, খালিহাতে ফিরে গিয়েছেন, এমন দুর্নাম কেউ চন্দনের করতে পারবেন না বলে জানা যায়।  রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গেও চন্দনের ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসে।