সমীরণ পাল, বনগাঁ: স্টেশন রয়েছে অথচ সব ট্রেন দাঁড়ায় না। পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের মর্যাদাও মেলেনি। তা নিয়ে এ বার একযোগে আবেদন জমা পড়ল। সেই মর্মে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে (Shantanu Thakur)। তিনি সমস্যা সমাধানের অশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 


সব ট্রেন দাঁড়ানো এবং পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের দাবি শান্তনুর কাছে


বনগাঁ-শিয়ালদা (Bangaon News) লাইনে অবস্থিত বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন। তার উন্নয়নের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব স্থানীয়রা। প্রতি দিন বহু মানুষ যাতায়াত করলেও, এখনও পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের মর্যাদা পায়নি বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন। সব ট্রেন দাঁড়ায়ও না সেখানে (North 24 Parganas News)। 


তা নিয়ে এ দরজা, ও দরজা ঘুরেও সুরাহা হয়নি। তাই শেষমেশ শান্তনুর দ্বারস্থ হলেন স্থানীয়রা। শুক্রবার সন্ধেয় বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শান্তনু। সেখানেই স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: Madan Mitra : "১০ মিনিট লাগবে না ঘটি-বাটি মুড়িয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেব", মদনের নিশানায় শুভেন্দু


স্টেশন উন্নয়ন কমিটি জানিয়েছেন, শান্তনুর কাছে বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড়ানোর পাশাপাশি স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনে পরিণত করার দাবি জানানো হয়েছে।


স্মারকলিপি পেয়ে শান্তনু স্টেশন উন্নয়ন কমিটিকে আশ্বস্ত করেন। জানান,  অতি দ্রুত এই স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড়াবে। পূর্ণাঙ্গ স্টেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই হল্ট স্টেশন থেকে প্রতিদিন কত যাত্রী যাতায়াত করছেন, তার তথ্য আপনারা আমার কাছে দেবেন। আমি ডিআরএম-এর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখব।’’


শান্তনুর তরফে পূর্ণ আশ্বাস মিলেছে বলে খবর


তবে শান্তনু ঠাকুরের আশ্বাস নিয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। এই ধরনের পদক্ষেপ করে থাকলে, আমরা স্বাগত জানাই।’’


বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনে অবস্থিত। স্টেশনে দু’টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। স্টেশন পরিচালনার জন্য রয়েছে স্টেশন মাস্টারের ভবনও। যাত্রীদের জন্য বসার আসন, ছাউনি থাকলেও, গাড়ি রাখার জায়গা, জিনিসপত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সব ট্রেন দাঁড়ায়ও না সেখানে।