কলকাতা : এবার মদন মিত্রর (Madan Mitra) মুখে বোমা-হুমকি ! নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের। নবান্ন অভিযান চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতাকে একহাত নিলেন তিনি। বললেন, যারা তাণ্ডব করছেন, গুন্ডামি করছেন, যারা বলছেন ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেলস, যদি দলের নির্দেশ আসে ১০ মিনিট লাগবে না ঘটি-বাটি মুড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার তিন দিক থেকে নবান্ন ঘেরার লক্ষ্য ছিল বিজেপি-র (BJP) সেই মতো পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন শুভেন্দু, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহারা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেডের তুলে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাতে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় এক মহিলা পুলিশ কর্মী এসে পিছু হটতে বলেল ফুঁসে ওঠেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি, আই অ্যাম মেল। চলো...ডোন্ট টাচ। ডোন্ট টাচ। ডোন্ট টাচ। আপনার লেডিরা আমার গায়ে হাত দিয়েছে।'
আরও পড়ুন ; 'পুরুষকে মহিলা দেখছে, মহিলাকে পুরুষ দেখছে শুভেন্দু', বিস্ফোরক কুণাল
তোপ-পাল্টা তোপ-
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের দিকেই সকলের নজর চলে যায়। রাজনৈতিক লড়াই ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ির স্তরে গিয়ে পৌঁছয়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "একজন মানসিক বিকৃত, হোমোসেক্সুয়াল লিডার ... এটা কিন্তু আমি শুভেন্দুকে বলিনি। বিধিসম্মত সতর্কীকরণ। শুভেন্দুর কাছে বিজেপির মহিলারা সুরক্ষিত। পুরুষরা নয়।' তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুও জবাব দিতে দেরি করেননি। তিনি বলেন, ' আমি সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা নর্দমার কীট, ভাইপোর কর্মচারী, মাসে পয়সা পায়, এই রকম লোকের সম্পর্কে কোনও কথা বলব না।' এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন, "কোনও একজন নেতার একজন দেহরক্ষীর আত্মহত্যার, রহস্যমৃত্যু এসেছে এবং তার সঙ্গে হোমোসেক্সুয়ালিটির অভিযোগ আসছে তদন্তে, সেই তদন্ত কেন থেমে আছে, কোন সেই নেতা যে একটা হোমোসেক্সুয়াল, তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে খুন করেছে?" কুণাল বলেন, ' যাঁর মহিলায় অ্যালার্জি, পুরুষ দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, কোন সেই নেতা ? কোন সেই নেতার পুরুষ দেহরক্ষী, যাঁকে শারীরিক নির্যাতন করছিল জানাজানির ভয়ে, তাঁকে খুন করে দেওয়া হয়, আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে ?'
বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও BJP কে কটাক্ষ করে বলেন, ' দেখলাম লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার বসে আছেন। আর উনি রাহুল সিনহার হাতে হাত দিয়ে বসে আছেন। জানি না সেটা কী? কিন্তু উনি করতেই পারেন, কাকে ভালবাসবেন, কাকে বিয়ে করবেন, কী খাবেন, কী হাঁটবেন, সেটা যার যার নিজস্ব বিষয়।'
এই ইস্যুতেই এবার শুভেন্দুকে একহাত নিলেন মদন। তিনি বলেন, যদি দলের নির্দেশ আসে ১০ মিনিট লাগবে না ঘটি-বাটি মুড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব। কিন্তু দল বলেছে হিংসা নয়, সৃষ্টি চাই। তাণ্ডব নয়, প্রেম চাই। গুন্ডামি তো করাই যায়।
এখনই একটা ছেলেকে নিয়ে দুটো মোটর বাইক নিয়ে চারটে বোমা মারলে সব ফাঁকা হয়ে যাবে। কিন্তু তাতে কৃতিত্ব কিছু নেই।