সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বগটুইকাণ্ড ধাপাচাপা পড়ে যাওয়া অনেক প্রশ্নকেই নতুন করে তুলে ধরেছে। রাজনীতির ময়দানে সমাজ বিরোধীদের দাপাদাপি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সর্বত্র তৎপরতা শুরু হয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে। জায়গায় জায়গায় তল্লাশা চালিয়ে উদ্ধার করা হচ্ছে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র (Illegal Arms Recovery)। বনগাঁয়ও (Bangaon News) এ বার তেমনই তল্লাশি শুরু হতে চলেছে।
বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালানোর আর্জি তৃণমূল জেলা সভাপতির
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) বনগাঁয় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার এবং দুষ্কৃতীদের ধরপাকড় করতে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি তথা বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাজ্যের সর্বত্র বে-আইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে৷ ব্যবস্থা নিতে হবে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে যাতে মান্যতা দেওয়া হয়, সে কারণেই পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু গোপালের এই চিঠি নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি-র (BJP) দাবি, অস্ত্র আছেন জেনেই পুলিশকে চিঠি তৃণমূল নেতার। বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘গোপাল শেঠের চিঠিতে প্রমাণিত হয় যে, বনগাঁয় অস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে। পুলিশ কোনও কাজ করছে না। বিএসএফ শুধুমাত্র সীমান্ত এলাকাতেই সক্রিয়।’’
বগটুইকাণ্ডের জের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই এলাকায় প্রথমে তৃণমূল নেতা বোমার আঘাতে খুন হন। তার পর ওই এলাকার পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। তাতে শিশু-সহ আট জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
সেই নিয়া টানাপোড়ন চলাকালীন গত সপ্তাহে বগটুইয়ে গিয়ে পীড়িতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখানেই পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতিতে মোকাবিলার নির্দেশ দেন তিনি। গোটা রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাতে বলেন, যাতে মজুত করে রাখা বেআইনি অস্ত্রশস্ত্রর, গুলি, বোমা উদ্ধার করা সম্ভব হয়।মমতার এই নির্দেশের পরই চূড়ান্ত তৎপরতা দেখা গিয়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, এত দিন সব জেনেও চুপ ছিল প্রশাসন। বগটুইয়ের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই তল্লাশি অভিযান।