সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুরের (Barackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি-খুনের ঘটনায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। আদালতের রায়ে খুশি নয় পরিবার। রায় ঘোষণার পর আদালতের মধ্যেই তদন্তকারী অফিসার ও বিশেষ সরকারি আইনজীবীকে এক দুষ্কৃতী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।


সোনার দোকানে ডাকাতি-খুন: ভরসন্ধেয় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে শ্যুটআউট। মাত্র ১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের অপারেশন। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় তরতাজা একটি প্রাণ। ১ বছর ৪ মাসের মাথায় সেই ঘটনায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। যদিও এই রায়ে খুশি নয়, নিহতের পরিবার। দোকানের মালিক ও নিহত নীলাদ্রি সিংহর বাবা নীলরতন সিংহ বলেন, "না, আমি মোটেই খুশি নই। একদমই খুশি নই। কারণ, একজনের অন্তত পক্ষে ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। যে আমার ছেলেকে মেরেছে।''সাজা ঘোষণার পর আদালতের মধ্যেই তদন্তকারী অফিসার ও বিশেষ সরকারি আইনজীবীকে এক দুষ্কৃতী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।                                                             

ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের ২৪ মে। ভরসন্ধেয় ব্যারাকপুর স্টেশনের অদূরে, জনবহুল এলাকা আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ঘড়ির কাটায় তখন সন্ধে ৬টা বেজে ৫ মিনিট। একে একে সোনার দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। প্রথম জনের গায়ে ছিল নীল রংয়ের গোলগলা ফুলহাতা টি-শার্ট। মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক। তার পিছনেই ছিল আরেক দুষ্কৃতী। পরণে ছিল ফুলহাতা জামা। মুখে মাস্ক। তৃতীয় দুষ্কৃতীর মুখ ঢাকা ছিল। বুকের সামনে ছিল ব্যাগ। মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক পরা আর এক দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকতেই কোমর থেকে পিস্তল বের করে একজন। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সোনার দোকানের মালিকের ছেলে নীলাদ্রি। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তার মধ্যেই নীলাদ্রিকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শ্যুটআউটের পর দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে চেপে পাতুলিয়ার দিকে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। পরে ধরা পড়ে ৫ জনই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: R G Kar Protest: 'খুবই ধিক্কারজনক ব্যাপার' পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সদস্যপদ ছাড়লেন সুপ্রতিম রায়