সমীরণ পাল, দেগঙ্গা : জমি-বিবাদের জেরে ফেলে মারধর, ছিঁড়ে নেওয়া হল গৃহবধূর কান ! এমনই ভয়াবহ অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার শিমুলিয়ায়। 
বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চরমে ওঠায়, বছর বাহান্নর ওই মহিলার কান ছিঁড়ে নেওয়া হয়। বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দুই ছেলেও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তিনজনের সন্ধান চালাচ্ছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ (Deganga Police Station)। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি বিবাদ নিয়ে বচসা থেকে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় তুমুল বাগবিতণ্ডা। যারপর ঘটনা নেয় রক্তাক্ত মোড়। স্থানীয় বছর বাহান্নর মহিলাকে প্রথমে মারধর ও পরে তাঁর কান ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গৃহবধূকে মার খেতে দেখে তাঁর ছেলেরা বাঁচাতে এলে তাঁদেরকেও আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বলেই জানা যাচ্ছে। 


দেগঙ্গার শিমুলিয়া গ্রামে ঘটে যে ঘটনা। আক্রান্ত গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে (Biswanathpur Rural Hospital)। যেখানে তাঁর সুশ্রুষা হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পরই দেগঙ্গা থানায় গিয়ে প্রতিবেশী তথা তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মহিলার পরিবারের লোকজন। যারপর ওই তিন অভিযুক্তের খোঁজে নামে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।


আরও পড়ুন- চাকরির বৈধতা প্রমাণে ব্যর্থ, প্রাথমিকে আরও ৫৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত


সর্ষে ক্ষেতে জল দেওয়া নিয়ে বিবাদ: কয়েক মাস আগেই সর্ষে ক্ষেতে জল দেওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল, এই অভিযোগে বিবাদ বেঁধেছিল। আর তার প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৪ জনের উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাকিম তোলা ঘাট এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা হলেন আব্দুল লতিব (৫৬), আব্দুল মাতিন (৫৩), আব্দুল কায়েস (৫০), ও আব্দুল তাহির (৩৩)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে সর্ষে ক্ষেতে জল দেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মাসুদ উদ্দিন। ঘটনা জানতে পারেন ওই জমির মালিক আব্দুল লতিব । জানা গিয়েছে, ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পান, জল আটকে রয়েছে। জল আটকে থাকলে সর্ষে নষ্ট হয়ে যায়। শুরু হয় দুপক্ষের বচসা। কেন সর্ষে ক্ষেতে জল দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করায় জমির মালিককে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মাসুদ উদ্দিন হাঁসোয়া দিয়ে আঘাত করে মাথায়।