সৌভিক মজুমদার, রঞ্জিত হালদার ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : চাকরির বৈধতা প্রমাণে ব্যর্থ। প্রাথমিকে আরও ৫৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রেখেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এ নিয়ে মোট ২৫২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হল। 


একের পর এক চাকরি বাতিল


প্রথমে ৫৩, বুধবার ১৪০-এর পর বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জন। প্রাথমিকে আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল হাইকোর্ট। এমনকি তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রাখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


২০১৪’র প্রাথমিকে টেটে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়ার পাশাপাশি ফেল করে, এমনকি পরীক্ষা না দিয়ে, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। গত বছরের ১৩ জুন, সেই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।                                                                          


কোন পথে গোটা ঘটনা


এরপর বরখাস্ত হওয়াদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর, সর্বোচ্চ আদালত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে মামলায় যুক্ত করবে। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে, চাকরি ফিরে পান একজন। ফলে ২৬৯ থেকে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ২৬৮।                                                                                                                                  


এই পরিস্থিতিতে গত ২৩ ডিসেম্বর, ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।আর বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড়। এ নিয়ে মোট ২৫২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হল।


আরও পড়ুন- উল্টে পড়ে যাওয়ার দশা, মদ খেয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষক! হুলস্থূল আরামবাগে