সমীরণ পাল, দত্তপুকুর : মন্ত্রীর সামনে সপাটে চড়েও নেই রেহাই, এবার 'বুঝে নেওয়ার হুমকি'! দিদির সুরক্ষাকবচের প্রচারে (Didir Surakhha Kavach Campaign) রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর সামনেই আক্রান্ত হয়েছেন অভিযোগকারী। দত্তপুকুরে দিদির সুরক্ষাকবচের প্রচারে তৃণমূলকর্মীর (TMC) ঘাড়ধাক্কা, চড়ের পর দিয়েছেন 'হুমকি'! দত্তপুকুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে হুমকির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


এদিন দত্তপুকুরের (DuttaPukur) ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউবনা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে (Didir Dut Campaign) খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাসকে প্রথমে ঘাড়ধাক্কা, তারপর সপাটে চড় কষান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিবম রায়। পরে আক্রান্ত বিজেপি নেতার পিঠ চাপড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন খাদ্যমন্ত্রী।


কর্মসূচির নাম দিদির সুরক্ষা কবচ। উদ্দেশ্য় মানুষের অভিযোগ শোনা। কিন্তু, সেই কর্মসূচিতেই খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে খেতে হল চড়! গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে এই ঘটনা বলে সাফাই রথীন ঘোষের (Food Minister Rathin Ghosh)। ঘটনার প্রতিবাদে সুভাষনগরে ব্য়ারাকপুর-বারাসাত রোডে (Barrackpore-Barasat Road) টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধে সামিল হন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা সাগর বিশ্বাস। 


আক্রান্ত সাগর বিশ্বাসের অভিযোগ, 'এরকম পরিবেশ থাকলে তো কেউ কোনও কথাই বলতে পারবে না। রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা এবং মন্দিরের বেহাল দশা, মন্দির কমিটির হয়ে আমরা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে সকলেই ছিল।' পরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছেন, 'বাড়ি পাওয়ার ব্যাপার ছিল, এরা অনেকে অভিযোগ করছেন পাননি, ব্যাপার হচ্ছে এদের ব্যক্তিগত গণ্ডগোলে তো আমি মাথা গলাবো না, তাঁর বা অন্য কিছু, সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।'


জেলায় জেলায় ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন ইস্য়ুতে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে দিদির দূতেদের। কিন্তু, অভিযোগ জানাতে গেলে চড় মারার ঘটনায়, এবার দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক।


এদিকে, শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, অসিত মালের পর এবার বিক্ষোভের মুখে গলসির তৃণমূল বিধায়ক । পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' নেপাল ঘোড়ুই । গ্রামবাসীদের সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরও বিক্ষোভের মুখে খোদ তৃণমূল বিধায়ক! তৃণমূল বিধায়ককে গ্রামেই ঢুকতে না দেওয়ার দাবি বিক্ষোভকারীদের। আবাসে 'দুর্নীতি' থেকে ভোটে জেতার পরে বিধায়ক গ্রামে না আসার অভিযোগ । পঞ্চায়েত সদস্যকে কর্মসূচি না ডাকার অভিযোগে তৃণমূলকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। 'কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দেখতে গিয়েছিলাম, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ তোলে, মেশিন দিয়ে ধান কাটায় কাজ না পাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের', গ্রামে ঢোকার কোনও কর্মসূচিই ছিল না, বিক্ষোভের কথা উড়িয়ে দাবি বিধায়কের। 


আরও পড়ুন- 'মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে, হিসেব চাইছে' দিদির দূতেদের ক্ষোভের মুখ পড়া নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ