রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet Election ) আগে জনসংযোগে শান দিতে তৃণমূলের (TMC ) নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষাকবচ। যা শুরু হচ্ছে ১১ জানুয়ারি থেকে। তৈরি করা হয়েছে দিদির দূত ( Didir Doot ) নামে একটি অ্যাপ। উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারের ১৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধাকে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু তার প্রচারে গিয়েই একের পর এক প্রশ্নের মুখ পড়ছেন দিদির দূতেরা। সাংসদ, মন্ত্রী থেকে বিধায়ক। জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে দিদির দূতেদের। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়তে পারে?
' মানুষ হিসেব চাইছে'
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ' মানুষ দুর্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।' দিদির দূত কর্মসূচিতে কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য, ' বিক্ষোভ তো ভালই। ক্ষোভ বেরিয়ে আসবে। '
আরও পড়ুন :
জেনে নিন জেলা থেকে জেলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর একনজরে
জেলায় জেলায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ
বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া থেকে ঝাড়গ্রাম। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের দিদির দূতরা! কুণাল ঘোষ, আবু তাহের, দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, দিদির দূতেরা দিকে দিকে সাধারণের না পাওয়া শুনে ফিরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি বিরোধী শিবিরে অক্সিজেন জুগিয়েছে।
অন্যদিকে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের নিশানায় বাম - কংগ্রেসও। সম্প্রতি বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রায় বামেদের আমন্ত্রণ জানান অধীর চৌধুরী। ২৩ জানুয়ারি, কার্শিয়ঙে পদযাত্রা সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য এ রাজ্যের সব বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে আমন্ত্রণ জানানো হয়। 'বাম-কংগ্রেস পুরনো সঙ্গী। নির্বাচনের আগে হয়তো জোট বাঁধবেন। তাই আগেই যদি একসঙ্গে হাঁটেন, তাহলে মানুষের বুঝতে সুবিধা হবে। ' ভারত জোড়ো যাত্রায় সিপিএমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অধীর চৌধুরীর চিঠি প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।