সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তীব্র গরম, প্রবল হাসফাঁস। ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যা হবেই। তাই গরমের সময়টা তেলেভাজা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনেকেই। বাঙালির প্রিয় ফুচকাও আপাতত গিয়েছে বাদের তালিকায়। সাধারণ ফুচকা বা তেলেভাজা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনেকেই। তাই, ক্রেতা টানতে, অভিনব ভাবনা ব্য়ারাকপুরের ফুচকা বিক্রেতাদের। বরফ ফুচকা! ফুচকার তেঁতুল জলে মেশানো হচ্ছে বরফ। দেদার বিক্রি হচ্ছে ব্য়ারাকপুর স্টেশন চত্বরে।
পারদ ৪০ ছুঁই ছুঁই। কালবৈশাখীর দেখা নেই। তীব্র শুষ্ক গরমে জ্বলছে গোটা বাংলা। এ যেন অচেনা এক চৈত্র। সুকুমার রায়ের কবিতার রাজার মতোই অবস্থা আমজনতার! এক টুকরো বরফই যেন দু'দণ্ড শান্তি দিতে পারে। কেউ গলা ভেজাচ্ছেন ঠান্ডা পানীয়য়, কেউবা আখের রস, ঘোল, শরবতে।
দারুণ দহনের এই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর স্টেশনের বাইরে ফিউশন ফুচকা নিয়ে হাজির বিক্রেতারা। ঝাল ঝাল করে মাখা আলুসেদ্ধ। সেই আলুমাখা ভরা ফুচকা যখন তেঁতুল গোলা জলে ডুব দেয়, এই গরমে তা দেখে নিজের রসনার ওপর রাশ টেনে রাখা সত্যিই দুষ্কর! সেই রসনা তৃপ্তিকে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দিতে তেঁতুলগোলা জলে মেশানো হচ্ছে বরফ। কাঠফাটা গরমে বরফিলা ফুচকার টানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এই গরমে তেলেভাজা থেকে য়খন মুখ ফিরিয়েছেন অনেকে, তখন ক্রেতাদের মন জয় করছে বরফ দেওয়া ফিউশন ফুচকা।
আরও দু' থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে:
দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় তাপমাত্রা ৪০-ডিগ্রির বেশি। আগামী সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বেলা বাড়লে লু বইবে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় আরও দু' থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সেই তাপমাত্রা স্থায়ী হতে পারে আরও দু-তিন দিন।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। আপাতত ৪-৫ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রেকর্ড গরম পানাগড়ে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ৪২.২ ডিগ্রি। কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। উত্তরবঙ্গেও রীতিমতো বাড়ছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই মালদাতে ৪০ ছুঁই ছুঁই আর দুই দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। আপাতত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।