গাইঘাটা: এবার গাইঘাটায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। টিউশনে যাওয়ার সময় বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এলাকারই এক যুবক। অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুলছাত্রীর, দাবি পরিবারের। আর জি কর কাণ্ডের পর এখনও প্রতিবাদে মুখর নাগরিক সমাজ। সেই আবহেও একের পর এক ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের খবর উঠে আসছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন গাইঘাটার ঘটনা। (Gaighata News)
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর বাড়ি ফিরে আসে তাঁর মেয়ে। কাউকে কিছু না বললেও, ভেঙে পড়ে সে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। ফোনে বিষয়টি জানতে পারেন। বাড়ি ফিরলে মেয়ে গোটা ঘটনা খুলে বলে তাঁকে। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রীকে গোটা ঘটনা জানান তাঁরা। কিন্তু অভিযুক্তের স্ত্রী বিষয়টি জানাজানি হওয়া নিয়ে আপত্তি জানান। (North 24 Parganas News)
ধর্ষণের শিকার হয়ে তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হতে গিয়েছিল বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তুলছেন পরিবারের লোকজন। সরাসরি অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির দাবি তুলেছেন তাঁরা। মেয়েটির বাবা জানান, অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁর মেয়ে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্তের পিসি তৃণমূল করেন। তিনি টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এই নিয়ে গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, "একটা নাবালিকা মেয়ে। ১৮ বছর বয়স হয়নি। তাকে ৩০ বছরের যুবক জোর করে, ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে, বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। মেয়েটা এবং তার পরিবার যাতে বিচার পায়, তার জন্য তদন্ত করে শাস্তির যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি আমি।"
অন্য দিকে, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষের বক্তব্য, "সর্বৈব মিথ্যে কথা। পরিবারকে কেউ ভয় দেখায়নি। এটা বিজেপি বিধায়ক বানিয়ে গল্প বলছেন। সর্বৈব মিথ্যা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা। পুলিশকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখানে তৃণমূল কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না। অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবে।"
বাংলার বুকে কাটছে না অপরাধের অমাবস্যা। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্তের। মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। সেই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। আবার কুমারগ্রামের হলদিবাড়ি থেকেও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। নদীতে স্নান করার সময় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। নাবালিকার চিকিৎসা চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।