সমীরণ পাল ও আশাবুল হোসেন, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা: দুর্নীতি ইস্য়ুতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় সাসংদ অর্জুন সিংহকে, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যাচ্ছে, দলের নাম করে কিছু লোক চুরি করছে বলেই সিপিএমের ক্ষমতা বাড়ছে। ওই ভিডিয়োতে তৃণমূল নেতা ও সাংসদ অর্জুন সিংহ বলছেন, 'দলের নাম করে কিছু মানুষ যেভাবে চুরি করছেন, আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। তার জন্য আজকে সিপিএমের কত ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে।'


পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে সোমবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবার, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত আর গ্রেফতারি নিয়ে সাঁড়াশি চাপে রাজ্য়ের শাসক শিবির। তারপরেই একটি ভিডিয়োতে দুর্নীতি ইস্য়ুতে এমন মন্তব্য শোনা গেল ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের মুখে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'এখানে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় প্রকাশ্য়ে বলছেন, জিরো টলারেন্স দুর্নীতি, সেখানে দলের নাম করে কিছু মানুষ যেভাবে চুরি করছেন, আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। তার জন্য আজকে সিপিএমের কত ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারের পুলিশকে মারছে। এই সাহসটা বাড়ছে কী করে? এই সাহসটা বাড়ার একটাই কারণ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ যারা দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে সিপিএম হয়ে ফায়দা তুলেছেন, আজকে তারা তৃণমূলে এসে ঝান্ডা ধরে আবার তৃণমূলকে বিক্রি করছেন।'


সিপিএমের কটাক্ষ:
একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হচ্ছেন। দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে লাগাতার আন্দোলন করছে বামেরা। অর্জুন সিংহের এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'এখন ওঁর কোনও বিষয় নেই। এই সমস্ত বকে উনি ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। এলাকায় যে তোলাবাজি চলছে উনি তার পথপ্রদর্শক।'


অনড় অর্জুন:
তবে, বিতর্কের পরও নিজের অবস্থানেই অনড় অর্জুন সিং। তিনি বলেন, 'সিপিএম কংগ্রেস যেভাবে আন্দোলন করছে, ওরা কোনওভাবে আমাদের দুর্বল ভেবে নিয়েছে তাই করছে, এটা দেখা উচিত।' এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, 'অর্জুন সিংহ যদি মনে করেন ওঁর কিছু বলার রয়েছে, তাহলে সেটা জেলার নেতাদের বলুক। বাইরে বলে কী হবে।'


আরও পড়ুন: দিল্লিযাত্রা নিয়ে 'শোরগোল', মুকুল রায়ের বয়ান নিল দিল্লি পুলিশ, রাজ্য পুলিশ