সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত থেকে এ বার কয়েক লক্ষ টাকার মাছের ডিম উদ্ধার হল। প্যাকেটে ভরে সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ। পাচারের আগেই তা ধরে ফেললেন দক্ষিণবঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। মোট ৪১ টি প্লাস্টিকের থলি ভর্তি মাছের ডিম উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে (Fish Egg)। বাংলাদেশে সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ (India Bangladesh Border)।


কাঁধে বস্তা ঝুলিয়ে সীমান্তের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন চোরা কারবারিরা


বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News)  অন্তর্গত বোলতলা সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মাছের ডিম ভর্তি ওই থলিগুলি। BSF সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার গভীর রাতে কিছু চোরা কারবারিদের উপর নজর গিয়ে পড়ে তাদের। কাঁধে বস্তা ঝুলিয়ে সীমান্তের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাড়া করে প্রথমে তাঁদের থামতে বলেন বোলতলা সীমান্ত চৌকিতে মোতায়েন ১১৮তম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।


আরও পড়ুন: Kolkata News: মেটিয়াবুরুজে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত দুই শিশু-সহ কমপক্ষে ২২ জন


কিন্তু জওয়ানদের দেখে ভয় পেয়ে যান চোরা কারবারিরা। থলি ফেলে রেখেই পালিয়ে যান বলে খবর। এর পর রাত থেকেই এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। প্রথমে মাছের ডিম ভর্তি ২১টি প্লাস্টিকের থলি উদ্ধার হয়। এ ছাড়াও, ঘোজাডাঙা সীমান্ত ফাঁড়ি, ১৫৩তম সীমান্তরক্ষীবাহিনী এবং সীমান্ত চৌকি সিএস খালি, ১১৮তম সীমান্তরক্ষীবাহিনীর জওয়ানরাও নিজ নিজ এলাকা থেকে আরও ২০টি প্লাস্টিকের থলি ভর্তি মাছের ডিম উদ্ধার করেন।


চোরাচালানকারীরা যাতে পাচার চক্র চালাতে না পারে, কঠোর নজরদারি সীমান্তে


আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাছের থলি সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত BSF দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার। তাদের মুখপাত্র জানান, চোরাচালানকারীরা যাতে পাচার চক্র চালাতে না পারে, তার জন্য কঠোর নজরদারি চলছে সীমান্ত এলাকায়। সীমান্তে চোরাচালান থেকে সবরকমের অপরাধমূলক কাজকর্ম প্রতিরোধই BSF-এর লক্ষ্য বলে জানানো হয়।


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার রাজ্যে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র


অন্য দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার রাজ্যে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। মালদার মানিকচক থানার গঙ্গাঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচকের গঙ্গা ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় এসটিএফ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় মানিকচকের নুরপুরের বাসিন্দ মোহাম্মদ ইশরাফ এবং রতুয়া থানার বাহারাল এলাকার বাসিন্দা মীর সেজবুলকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, দু'টি ম্যাগাজিন এবং ১০ রাউন্ড কার্তুজ। এ


এসটিএফ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্রটি ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ে আসা হয়। মালদায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল ওই দুই পাচারকারীর। তার আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অস্ত্র কারবারিকে। কার কাছে এই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল,  সে বিষয়ে তদন্ত আরম্ভ করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।