সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দোলের দিনে আগুন হৃদয়পুরে। হৃদয়পুর স্টেশন (Hridaypur Station) সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে একটি বন্ধ দোকানে আজ দুপুরে আগুন (Fire) লাগে। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বাজারের মধ্যে অনেকগুলো দোকান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দমকলের দুটো ইঞ্জিন (Fire Engine) এসে আগুন আয়ত্তে আনে। এই দোকানের পাশেই বেশ কতগুলো ব্যাঙ্ক রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কীভাবে আগুন লেগেছে ? তা স্পষ্ট না হলেও আগুনে দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমনটাই দাবি। হতাহতর কোন খবর নেই।
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা অব্যহত। চলতি মাসেই গত ৫ তারিখেই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। মূলত গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতা ও জেলায় তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নাকতলার পাশাপাশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে তিলজলা এবং বনগাঁতেও। এর মধ্যে নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে পুড়ে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা, না অন্য কিছু, এই ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কারণ ফ্ল্যাটের মালকিন আবাসনের বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে নাকতলায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায়। চার তলা আবাসনের ওই তলায় কোনও ব্যক্তি থাকতেন না। সেখানে রাখা ছিল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুর। আগুনে ঝলসে তাদের মৃত্যু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের মালকিন কমলিকা গুপ্তের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছে। এবিপি আনন্দের মুখোমুুখি হয়ে কমলিকা বলেন,'আমাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আগুন লাগার ঘটনা কাকতালীয় নয়। এর আগেও কুকুর-বিড়ালদের মারার চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফ্ল্যাটের মালিক।'
আরও পড়ুন, রাজ্য জুড়ে আজ রঙের উৎসব, অথচ বর্ধমানবাসীর দোল আগামীকাল, এমনটা কেন?
অন্য দিকে, সম্প্রতি বিধ্বংসী আগুন লাগে তিলজলা রোডে চামড়ার কারখানায়। কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। শনিবার রাতে আগুন লাগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর একটি দোকানেও। দেবগড় নেড়াপুকুর বটতলা এলাকার ওই অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। দমকলের দু'টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ক্ষেত্রেও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।