সমীরণ পাল, বারাসাত: ‘বহিরাগত প্রার্থী চাইছি না।’ পুরভোটের মুখে এই পোস্টার পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল কংগ্রেসের নামে পড়া এই পোস্টার ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা বিরোধীদের কাজ। যদিও তা  মানতে নারাজ বিজেপি। 


অন্যদিকে, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকার তৃণমূল কর্মীকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে ফেসবুকে প্রচার শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


এ যেন গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল! দলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। অথচ তার আগেই ফেসবুকে ঘুরছে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার! মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোপাল বসু তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁকে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে ফেসবুক ওয়ালে শুরু হয়েছে প্রচার, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 


ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘চারিদিকে ঘাসফুল, বসুনগর তৃণমূল। আসন্ন পৌর নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য গোপাল বসু মহাশয়কে জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।’


গোপাল বসুর সাফাই, ভালবেসে দলের সহকর্মীদের একাংশ এই কাজ করেছেন। 


মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘এর দায় দলের নয়। দল থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি।’


বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের এহেন প্রচার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মধ্যমগ্রাম পশ্চিম মণ্ডল বিজেপি সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘তৃণমূলে শৃঙ্খলা নেই। এটাই ওদের সংস্কৃতি।’


২৭ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে রাজ্যের বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোট। আজ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে বারাসাত ও মধ্যমগ্রামের ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।