কলকাতা: ভজন বা গজলে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অনুপ জলোটার নাম বললেই যেন কানে বাজে 'অ্যায়সি লাগে লগন.. মীরা হো গেয়ি মগন'। সদ্য বাঙালি ছেলে অর্ণব বিশ্বাসের (Arnab Biswas) সঙ্গে নতুন ভজন ও গজল রেকর্ডিং করেছেন তিনি। কিন্তু কিংবদন্তি এই শিল্পীর সুরের জগতে পা দেওয়ার গল্পটা ঠিক কেমন ছিল? এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলার গল্প ভাগ করে নিলেন অনুপ জলোটা (Anup Jalota)। 




ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। কিন্তু যখন গানের নেশাকেই পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন কী বলেছিলেন পরিবারের সবাই? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অনুপ বললেন, 'আমি পরিবারে প্রথম নয়, যে সঙ্গীত জগতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মা ভালো গান গাইতেন। সেইসঙ্গে কত্থক নাচও করতেন। আমাদের বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল আগে থেকেই। কিন্তু মা-বাবা বলেছিলেন, আগে পড়াশোনা করতে হবে। স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ না করলে গানকে পেশা হিসেবে নিতে পারবে না। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি পড়াশোনা শেষ করি। সেইসঙ্গে লখনউ থেকেই গানের তালিম চলতে থাকে। বাবার থেকেও তালিম নিতাম। স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করার পরে গানকে পেশা হিসেবে নেওয়ার অনুমতি পাই। মা-বাবা বলতেন, একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করলে তবেই সবার সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ইংরাজি ভালো হওয়া জরুরি। সেই কথা মেনেই স্নাতক হওয়ার পর আমি গানের জগতে এসেছি।'


আরও পড়ুন: বিয়ের ১০ বছর, দ্বৈপায়নের সঙ্গে ছবি শেয়ার পায়েলের


বাঙালি ছেলে অর্ণবের সঙ্গে 'ও চাঁদনি সা বদন' রেকর্ড করেছেন অনুপ জলোটা। হাতে রয়েছে একাধিক কাজ। বাঙালিদের কতটা কাছের থেকে দেখেছেন তিনি? অনুপ বলছেন, 'বাংলা থেকে বিভিন্ন সময়ে সঙ্গীত জগতের এক একজন রত্ন উঠে এসেছেন। তাঁরা কেবল বাংলায় থেকে থাকেননি। বলিউড থেকে শুরু করে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগত, সব জায়গাতেই তাঁরা নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন।'




বাঙালি সঙ্গ প্রিয় তাঁর, আর বাঙালি খাবার? এবিপি লাইভের প্রশ্নে একটু ভেবে অনুপ বললেন, 'ওই যে পাতার মধ্যে একটা মাছ রান্না করে.....' পাতুরি! ধরিয়ে দিলেন অর্ণব।