সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যালট বক্সের পর এবার জালে উঠল ভোটার আইকার্ড। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে মাছ বিক্রেতার জালে উঠল ১৮ টি ভোটার কার্ড। কোথা থেকে এল? কাদের ভোটার কার্ড? তদন্ত করছে পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের এক মাসের মধ্যেই পুকুর থেকে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এর আগে জালে ব্যালট বক্স উঠেছে, এবার উঠেছে ভোটার কার্ড। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেছে মাসখানেক হতে চলল। এখনও কোথাও জাল ফেলে পুকুর থেকে উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট বক্স। কোথাও আবার জালে উঠে আসছে ভোটার কার্ড। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। দক্ষিণ সুন্দরপুর এলাকায় রেল লাইনের ধারে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হল ভোটার কার্ডের বান্ডিল। মাছ ধরার জালে উঠল সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র।
গোপালনগরের বাসিন্দা নজরুল মণ্ডল বলেন, 'আমার জালে এক গোছা ভোটার কার্ড উঠে এসেছে। মোট ১৮টা ভোটার কার্ড ছিল। বিভিন্ন এলাকায় আইকার্ড ছিল। কোনওটা বনগাঁ, কোনওটা শান্তিপুর। পুলিশে খবর দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আসেনি। ২ জন সিভিক এসেছিল। ওরাই ওই ভোটার কার্ডগুলি নিয়ে চলে গেল।'
ঘটনা সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, 'নকল ভোটার কার্ড তৈরি করে নকল ভোট দিয়েছে এই তৃণমূল। এদের দ্বারা সব সম্ভব। রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে।' বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'এই ভোটার কার্ড তৈরির একটি চক্র ছিল। আমরা তাদের এখান থেকে একাধিকবার রেইড করার পর গ্রেফতার হয়েছে। আমার এই চক্রটিকে বন্ধ করেছি। এটা যা হয়েছে তদন্তসাপেক্ষ।'
এর আগে:
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) মিটেছে সপ্তাহতিনেক আগে। কিন্তু ব্যালট বাক্স (Ballot Box Recovery) উদ্ধারের ধারায় ক্ষান্তি নেই। সম্প্রতি নদিয়ার (Nadia News) নাকাশিপাড়ার বিলকুমারী পঞ্চায়েতের উত্তর বহিরগাছির মধ্য পাড়ায় পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের দাবি নির্বাচনের দিনই সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছিল। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম (CPIM) নেতৃত্ব।