সমীরণ পাল, কামারহাটি: পুরভোটের (Municipal Election) এক সপ্তাহ আগে তৃণমূলের (AITC) পোস্টার (Poster), ব্যানার (Banner) ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) কামারহাটির (Kamarhati) ২১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এসে ভার্নার লেন, চ্যাটার্জিপাড়া লেন, চ্যাটার্জিপাড়া এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ সাহার সমর্থনে টাঙানো পোস্টার ব্লেড দিয়ে কেটে ফালা ফালা করে দিয়েছে এবং ছিঁড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও মদন মিত্রর (Madan Mitra) ছবিও কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ সাহার দাবি, প্রচারে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরেই বিরোধীরা রাগের বশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর উত্তর ২৭ তারিখ সাধারণ মানুষ দেবে।


বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পুলিশ এসে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


আরও পড়ুন ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে


এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায়ের পাল্টা দাবি, ‘চারিদিকে তৃণমূলের এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তারপরে যদি কোনও ঘটনার দায় বিজেপি-র উপর চাপায়, তাহলে সেই খবর শুনে সাধারণ মানুষ হাসবে। এই মুহূর্তে এমন পরিস্থিতি নেই যে বিজেপি তৃণমূলের পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ভোটে লড়তে পারবে। কারণ তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি-র নেতা থেকে কর্মীরা।’


অন্যদিকে, পুরভোটের আগে ফের অশান্ত উত্তর ব্যারাকপুর। তৃণমূল নেতা সুশান্ত মজুমদারকে খুনের পর এবার যুব তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ। গতকাল রাতে এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তর বারাকপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল নেতা দীপঙ্কর সাহা। অভিযোগ, বাইক থামিয়ে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। যুব তৃণমূল নেতাকে মারধরের পর তাঁর সঙ্গীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সমীর বসু নামে ওই তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। রাতে ঘটনাস্থলে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, পুরভোটের আগে বিজেপির তরফে এলাকায় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। বিজেপির নাম জড়ানো তৃণমূলের রোগে পরিণত হয়েছে, পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের।