অরিন্দম সেন,উত্তরবঙ্গ: উত্তরবঙ্গে হেনস্থার শিকার আরও এক বিজেপি বিধায়ক! ত্রাণ দিতে কুমারগ্রামের বিধায়ককে ফের বাধা, গো ব্যাক স্লোগান। ভুটান সীমান্তের বিত্তিবাড়িতে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মনোজ ওঁরাও।
একদিকে রাজ্যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গেছে! এখনও পর্যন্ত ২৯টি প্রাণ চলে গেছে! কিন্তু তারমধ্যেও রাজ্যে হামলা সংস্কৃতি চলছেই! গতকাল নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে। আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আজ ত্রাণ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হল কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে! তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হলেন মহিলারা।
এমনকী বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বহিনীর জওয়ানদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিক্ষোভকারীরা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের নেতাদের নেতৃত্বেই পরিকল্পনা করে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টাকে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ বলছে তৃণমূল।
একদিকে অসহায় মানুষ কাঁদছে! অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের হেনস্থা অব্য়াহত!মুখ্য়মন্ত্রী যেদিন জখম বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে দেখতে গেলেন সেদিনই কার্যত হেনস্থা হতে হল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-কে। প্রথমে বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ! তারপর গো ব্যাক স্লোগান! ধাক্কাধাক্কি, তুমুল হই-হট্টগোল,বিক্ষোভকারী ও বিজেপি বিধায়কের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে হুলস্থুলকাণ্ড বাঁধল। ভেঙে দেওয়া হল বিধায়কের গাড়ির কাচ!বিক্ষোভকারীরা চড়াও হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর! মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিন সোমবার, নাগরাকাটায় রক্তাক্ত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আক্রান্ত হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে হেনস্থা হতে হল স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে! কুমারগ্রাম বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেছেন, এখানকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, তার নেতৃত্বে গুটিকয়েক তৃণমূলের হার্মাদ তারা আটকানোর চেষ্টা করছে। আমরা এসেছিলাম ত্রাণ দিতে। যা হওয়ার তাই হয়েছে। তৃণমূল নেতারা এসেছে। তারা আটকাচ্ছে। ত্রাণ দিতে দেবে না। কুমারগ্রাম (উত্তর) তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি তনুময় দাস বলেন, এতদিন বিজেপির কোনও নেতা বা MLA-কে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আজকে হঠাৎ ওনারা যখন এভাবে নোংরা রাজনীতি করতে নেমেছেন, তখন সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের মারধর-হেনস্থা-রক্তাক্ত করা, কখনও কনভয়ে আক্রমণ....কখনও জুতো ছোড়া...বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে কেন? এ কোন সংস্কৃতি?মঙ্গলবার লাঠি ও ঢাল উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পাল্টা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। অঞ্চল সভাপতি,কুমারগ্রাম (উত্তর) তৃণমূল কংগ্রেস তনুময় দাস, ওনার যে দেহরক্ষী, আমাদের তৃণমূলের কর্মী ও সাধারণ মানুষের গায়ে হাত তুলেছে এবং লাঠিচার্জও করেছে।