সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের (North Bengal Medical College) অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার অপসারণ দাবি এবার বিভাগীয় প্রধানদের। স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ১৬ জন বিভাগীয় প্রধান। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তদন্ত না হওয়ার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন অধ্যাপকরা।
অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি: আর জি কর-কাণ্ডের পর রাজ্য়জুড়ে প্রতিবাদের ঝ়়ড় উঠেছে। আর তারপর থেকেই সাহস সঞ্চয় করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাজ্য়ের বিভিন্ন মেডিক্য়াল কলেজের চিকিৎসক-অধ্য়াপক, চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। উঠছে থ্রেট কালচারের ভয়ঙ্কর অভিযোগ। উঠছে সিন্ডিকেটের অভিযোগ। পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগে আগেই ডিন, সহকারী ডিন, আরএমও' পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পরেও তদন্ত শুরু হয়নি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানো-চক্রে সামিল ছিলেন অধ্যক্ষ। একই অভিযোগে বাকিরা পদত্যাগ করলে অধ্যক্ষ করছেন না কেন? অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষকে সরানো হোক।'
আর জি কর-কাণ্ডের আবহে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের তীব্র বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগও করেছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের ডিন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন। এর আগে আন্দোলনকারীদের তরফে যে অভিযোগ করা হয়, তাতে নাম ছিল খোদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহারও। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, খোদ অধ্য়ক্ষই জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নথি ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্বাস্থ্য় শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
‘থ্রেট কালচার’ অভিযোগে গত মাসে মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করে কলেজ কাউন্সিল। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় বলে দাবি করে অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন ৫ সাসপেন্ডেড পড়ুয়া। এরপর ডাকা হয় কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক। এরপরই ৫ পড়ুয়ার সাসপেনশন স্থগিত রাখার কথা জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। ওই পাঁচ ৫ পড়ুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রমাণ দিতেও বলা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।