ঝিলম করঞ্জাই, সন্দীপ সরকার ও বাচ্চু দাস: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College Hospital) জটিল অস্ত্রোপচারে (Rare Operation) সাফল্য। রোগীর পাঁজরে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যাওয়া বাঁশ বের করা হল অস্ত্রোপচার করে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগী আপাতত বিপদমুক্ত। কিছুদিন হাসপাতালে রেখে তাঁকে ছাড়া হবে।
পথ দুর্ঘটনার (Road Accident) জেরে পাঁজরের অংশে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে ঢুকে গিয়েছিল বাঁশ। সেই অবস্থায় রোগীকে বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শেষ অবধি জরুরি অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল রোগীর।হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিহারের কিষাণগঞ্জের বাসিন্দা শোভা দেবী, রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। টোটোয় যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় টোটোটি কাঁধে বাঁশ নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। সেই বাঁশ শোভার পাঁজরে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে ঢুকে যায়।
রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, বাঁশের বাইরের অংশ কেটে প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারের পূর্ণিয়ার এক হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার গভীর রাতেই রোগীকে নিয়ে আসা হয় এখানে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরা রাতেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। জটিল অস্ত্রোপচারে বের করা হয় বাঁশের অংশ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “চ্যালেঞ্জের মুখে অপারেশন করতে হয়। ক্রিটিক্যাল ছিল অবস্থা। এখন বিপদ কেটেছে।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর রাতেই অস্ত্রোপচার করা ছাড়া উপায় ছিল না। শরীরে বাঁশ ঢুকে থাকায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থারও দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। এমনকী পরীক্ষা করারও সময় ছিল না। তাই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। তবে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, বড় কোনও রক্তবাহী নালির ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়নি ফুসফুসেরও। তবে পাঁজরের একাধিক হাড় ভেঙেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও কয়েকদিন রোগীকে দেখে তারপর ছাড়া হবে।
আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৫০, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা শূন্য