উত্তরবঙ্গ: ফের দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। 'তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করে না। আমার কাছে এসে শুধু একে অপরের নামে অভিযোগ করে। কে বেশি খেল, কে কম খেল, সেই নিয়ে গন্ডগোল। নেতারা শুধু মনে করেন আমি থাকব ও আমার এক গোষ্ঠী থাকবে।'
উদয়ন আছেন উদয়নেই। চলতি মাসেই বহু চর্চিত শিরদাঁড়া নিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'যারা পশ্চিমবঙ্গে শিরদাঁড়ার ব্যবসা করছেন, তাদের শিরদাঁড়া এবারের নির্বাচনে এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে, যে সহজে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। পাল্টা, জবাব দিয়েছিল সিপিএম এবং বিজেপি। ১৩ নভেম্বর, কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে, শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায়, বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকদের শিরদাঁড়ার জোর খুলে দিয়েছিল পুলিশের লৌহকপাট। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের টেবিলে শিরদাঁড়া রেখে তাঁর হাতেই তাঁর পদত্য়াগের দাবিপত্র তুলে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ২ দিন আগেই, 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই'- টিশার্ট পরে কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হন এক চিকিৎসক। তখন থেকেই বারবার নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, শাসক কি তবে শিরদাঁড়ায় ভয় পাচ্ছে? শিরদাঁড়া আতঙ্ক কি শাসকে চেপে ধরেছে?
এই প্রেক্ষাপটে এবার, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার শুরুর দিনই, শিরদাঁড়া নিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। সেসময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ও বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছিলেন, 'যারা পশ্চিমবঙ্গে সে রামই হোক, বামই হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলই হোক, যারা পশ্চিমবঙ্গে শিরদাঁড়ার ব্যবসা করছেন, শিরদাঁড়া নিয়ে নতুন একটা ডাক দিয়েছেন, শিরদাঁড়া নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের শিরদাঁড়া এবারের নির্বাচনে এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যে সহজে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। ওই বাঁকা শিরদাঁড়া নিয়েই তাদের লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হবে আগামী দিনগুলো।'
আরও পড়ুন, ত্রাণ নিয়েও 'টানাটানি' ! খেজুরিতে BJP বিধায়ককে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভ
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বক্তব্য়ের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। সেসময় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন,' আন্দোলনকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আসলে রাজ্যের মানুষকে উদয়নবাবু অপমান করেছেন। কারণ, সত্যি কথা বলতে এই রাজ্যের সরকারের মেরুদণ্ড হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু মানুষের মেরুদণ্ড যে হারায়নি, আরজি কররে ঘটনায় মানুষ বারবার করে প্রমাণ করেছেন। সিতাইয়ের মানুষ নিশ্চিতভাবে সেই জবাব উদয়নবাবুকে দেবেন।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।