কলকাতা: ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি, লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে বহু গরিব মানুষের সংসার (North Bengal Storm Update)। আর খোলা আকাশের নীচে বসে, এই মুহূর্তে অনেকেই আফশোস করছেন মাথার ওপর পাকা ছাদ না থাকা নিয়ে। ফের উঠে আসছে সেই আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বাড়ি না পাওয়ার প্রসঙ্গ। বারবার আবেদন করেও সরকারি বাড়ি না পাওয়ার আক্ষেপ করছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ।


আক্ষেপ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের: ছাদ আর ছাউনি। তফাৎ বলতে এটাই। আর দুইয়ের এই তফাৎই এখন তাঁদের টেনে এনেছে খোলা আকাশের নীচে। আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে হত দরিদ্র মানুষগুলোর আক্ষেপ একটাই, যদি মাথার উপর আবাস যোজনার একটা শক্তপোক্ত ছাদ থাকত তাহলে এই হাল হত না। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সরস্বতী রায় বলেন, “আজকে আমার পাকা ঘর থাকলে এরকম উড়েও যেত না, ভেঙেও যেত না।’’ আরেক বাসিন্দা জীবন সরকার বলেন, “আজকে যদি আবাসের টাকা পেয়ে ঘর করত এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হত না।’’ ওই জেলারই আরেক বাসিন্দা ঝুনু সরকার বলেন, “ঘরের আবেদন করেছি বিডিও অফিসে, অঞ্চলে।ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড এগুলো জেরক্স করতে করতেই মনে হয় আমাদের পেটে ভাত জোটে না। প্রতিবছরই আমরা আবেদন করছি। প্রতিবছর। এখনও অবধি পাইনি।’’

ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা গোপাল রায়। রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ৩ সন্তানের মধ্যে এক ছেলে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন। ঝড়ে ভেঙে গেছে তাঁর সেই অন্যতম সম্বল হুইলচেয়ারও। তিনি বলছেন, “যদি মাথার ওপরে ছাদ থাকত তাহলে এত ক্ষয়ক্ষতি হত না।’’ আবহাওয়াবিদ  এইচ আর বিশ্বাস বলছেন, “ক্ষতির বহরটা শুধুমাত্র যে বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করবে তা নয়। এটা নির্ভর করবে আপনার কী পরিস্থিতিতে হচ্ছে, যেমন ধরুন ওখানে সবগুলো যদি পাকা বাড়ি থাকত, তাহলে সবগুলোর ক্ষতি হত না। ওখানে টিনের চালের বাড়ি, সেই টিনের চালের বাড়িটা উড়ে গিয়ে কারও ঘাড়ের ওপরে পড়ল, কারও মাথার ওপরে পড়ল, ক্ষতির পরিমাণ কোন এলাকায় হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করে।’’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   

আরও পড়ুন: KMC App: নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ১২ জনের মৃত্যুতে ফিরল হুঁশ, অ্যাপ চালু পুরসভার