উমেশ তামাং, দার্জিলিং: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমেছে। তবে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যস্ত জনজীবন। পুজোর মুখে, উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির জেরে NH-10 এর একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। যদিও বৃষ্টি থামতে জলস্তর কিছুটা নেমেছে তিস্তায়। যদিও পুজোর মুখে ফের উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে।  


তবে এদিন ঝলমলে রোদে ঝকঝক করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। দার্জিলিঙের ম্যালে ভিড় করেছেন অনেকেই। গত ৪-৫ দিন ধরেই পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামায় লিঙ্ক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আজ সকাল থেকে পরিষ্কার আকাশ। রোদ ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দার্জিলিঙের ম্যালে জড়ো হয়েছেন বহু মানুষ। 


অন্যদিকে, বৃষ্টি থামায় তিস্তার জলস্তর কিছুটা নেমেছে।তবে দার্জিলিং-কালিম্পং রোডে এখনও যান চলাচল শুরু হয়নি। জায়গায় জায়গায় ধস নামায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও বন্ধ। চিত্রে, বিরিকদাঁড়া, সেতিঝোরায় ধস নেমে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কালিম্পং, শিলিগুড়ি, সিকিমের মধ্যে। টানা বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্তর বেড়ে কালিম্পং এবং দার্জিলিং সংযোগকারী রাস্তা হয়েছে জলমগ্ন।  


ফলে কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যেতে হলে যেতে হচ্ছে লাভা হয়ে। যার জন্য কার্যত দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সেচ দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৪ হাজার ৮৭০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। নদীর জলস্তর বাড়ায় তিস্তা, জলঢাকা নদী তীরবর্তী অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।তিস্তা নদীর দোমহনি এবং জলঢাকার সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। 


আরও পড়ুন, ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি? মহালয়ার আগেই আবহাওয়ার বড় আপডেট


উত্তরবঙ্গে পুজোর আবহাওয়া


ভারী বৃষ্টি না হলেও ভিজবে পুজোর কলকাতা। ষষ্ঠীর থেকে দশমী পর্যন্ত হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। পূর্বাভাসে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।                                                                         


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে