রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও চলছে লাগাতার বৃষ্টি। এর ফলে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। প্রশাসনের তরফে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় চলছে মাইকে প্রচার। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অববাহিকায় জারী করা হয়েছে লাল সতর্কতা। শনিবার তিস্তা নদীর দোমহানীর সঙ্গে এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর (Jalpaiguri News)।
সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর দোমহানী এবং জলঢাকা সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। শনিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ির গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৪৮৭০.০৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি মহাকুমার বানাহাট ব্লকের জলমগ্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছেন এডিও পুষ্পা দোলমা লেপচা। বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশাসনের তরফে ওই পরিবারগুলিকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে, সেই সঙ্গে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় করা হচ্ছে মাইকিং।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বানারহাটের গয়েকাটার পাশাপাশি বিন্নাগুড়ি এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এস এম কলোনি, নেতাজিপল্লী ও সুভাসপল্লী এলাকা হাতিনালার জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সেই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এপ্রসঙ্গে ধূপগুড়ি মহাকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা জানান, বিন্নাগুড়ির যে সমস্ত এলাকায় হাতিনালার জল ঢুকেছিল সেই জল নেমে গেছে। তবে গয়েরকাটা এলাকায় এখনও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার মানুষদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।