না । স্বস্তির খবর নেই। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি । গোদের ওপর বিষফোড়া, ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে নীচের দিকে নেমে আসা জল । ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তোর্ষা, রায়ডাক, সংকোশের মতো নদী । বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। টানা বৃষ্টিতে জায়গায় জায়গায় নেমেছে ভূমি ধস। এখনই মৃত্যুমিছিল। সর্বস্ব খুইয়েছে মানুষ। কিন্তু এখনই রেহাই নেই প্রকৃতির তাণ্ডব থেকে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত বাড়তেই থাকবে। আগেই ৫ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলেছিল আবহাওয়া দফতর। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা আরও ভূমিধস নামতে পারে। উত্তরবঙ্গের উত্তের জেলাগুলিতে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। যত উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে তত বৃষ্টিপাত বাড়বে।
আরও বাড়বে দুর্যোগ?
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার এক বা দুটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত (১১ সেমি) হতে পারে আজও । উত্তরবঙ্গের সব জেলারই এক বা দুইটি স্থানে ঝোড়ো হাওয়া সহ বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে। মঙ্গলবারও উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় কয়েকটি স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত বা বজ্রপাত হতে পারে। উত্তরবঙ্গের মালদা, দিনাজপুর জেলার এক বা দুটি স্থানে ঝোড়ো হাওয়া বইবার পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
তছনছ উত্তরবঙ্গ
গত কয়েকদিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। তার জেরে ভুটান পাহাড় বেয়ে জল নামতে শুরু করে নীচের দিকে। সেই জল নামায় ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো পাহাড়ি নদী গুলি। জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও মিরিকের রাস্তা। কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলা-সিকিম রাস্তা। তিস্তার জলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাজ্য সড়কও। পুরোপুরিভাবে যান চলাচল বন্ধ এই রাস্তায়।
আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
GTA সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৪ জন। নিখোঁজ বহু। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রাণহানির ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় বাংলায় পোস্ট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।