কলকাতা: প্রবল বৃষ্টিতে বেড়ে গিয়েছে নদীগুলির জলস্তর। বানভাসি অবস্থা উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার (North Bengal Flooding)। সেই আবহে রাজ্য সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো হচ্ছে সেখানে। পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে নিজেই সেকথা জানালেন।
বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ, উচ্চ পর্যায়ের দল পাঠাচ্ছেন মমতা
রবিবার উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে ট্যুইট করেন মমতা। তিনি লেখেন, 'সেচমন্ত্রী, বিপর্যয়, সেচ এবং কৃষি বিভাগের সচিবদের নিয়ে বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের দল পাঠাচ্ছি আগামী কাল। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, জলস্তর বেড়ে গিয়েছে নদীগুলির, রাস্তাঘাটে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সম্পত্তির, ঘরছাড়া বহু মানুষ'।
এদিন মমতা আরও লেখেন, 'জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় বাহিনীর সহযোগিতায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জেলাশাসক এবং পুলিশ আধিকারিকরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছি মুখ্যসচিবকে। চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখা হবে না'।
একটানা ভারী বৃষ্টিতে রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল যেমন বানভাসি হয়েছে, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিও তেমন। সমতলে বৃষ্টি হলেও, উত্তরবঙ্গে বর্ষা ডেকে এনেছে বিপর্যয়। ১২ এবং ১৩ জুলাই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তার জেরে আালিপুরদুয়ারে জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে তোর্সা, কালজানি নদীর।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকার্য, নীচু এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের
শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়ি শহরের একটা বড় অংশও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীর জল কার্যত উপচে পড়ছে। ফলে নদীর নিচু এলাকা থেকে সরতে শুরু করেছেন মনুষজন। গত কয়েক দিন লাগাতার বৃষ্টির জেরে তিস্তা, জলঢাকা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করে সেচ দফতর।