ভাঙড়: ভাঙড়ে যাওয়ার পথে ফের বাধা পেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি (Bhangar News)। রাজারহাট-নিউটাউনের পর হাতিশালায় ভাঙড়ের বিধায়ককে আটকানো হল। গতকাল সওকত মোল্লা এবং আরাবুলকেও ভাঙড়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারার জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার নৌশাদকে নিউটাউনে আটকে দেয় পুলিশ (Nawsad Siddique)। ১৪৪ ধারা শুরু হওয়ার প্রায় দুই কিলোমিটার আগেই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি। এদিনও, একটানা গাড়ির ভিতরেই অবস্থানে বসে থাকতে দেখা গেল নৌশাদকে।


কিন্তু তৃণমূল এবং ISF-এর মধ্যে পুলিশ তৃণমূলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ নৌশাদ। তিনি জানিয়েছেন, দলে দলে লোকজন ঢুকছেন ভাঙড়ে। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। তিনি শুধুমাত্র একজনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁকে আটকানো হচ্ছে। ১৪৪ ধারা থাকলে চার জনের বেশি জমায়েত করা যায় না। কিন্তু ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে, ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকানো হচ্ছে তাঁকে। 


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar : মহারাষ্ট্রের ঘোড়া কেনাবেচার ছক কি বাংলাতেও ? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের


আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন নৌশাদ। এদিন পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় নৌশাদের। এত গাড়ি যেখানে ঢুকছে-বেরোচ্ছে, তৃণমূলের নেতারা যেখানে অবাধে বিচরণ করছেন, সেখানে তাঁকেই শুধু আটকানো হচ্ছে কেন প্রশ্ন তোলেন নৌশাদ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে চান। নৌশাদ জানান, তাঁর স্বাধীন গতিবিধির অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।


এদিন নৌশাদ বলেন, শুধুমাত্র নৌশাদ সিদ্দিকির গতিবিধি আটকানোর জন্য, যাতে ভাঙড়ে ঢুকতে না পারে, তার জন্য আটকানো হচ্ছে আমাকে। ভাঙড়বাসীর পাশে আজ জনপ্রতিনিধির থাকা দরকার। কিন্তু আমাকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভাঙড়বাসীর অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমার অনেক ওখানে কাগজ রয়েছে, কাজ আছে, পরিষেবা দেওয়ার আছে। কিন্তু সুকৌশলে তাতে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। জাহানারা বিবির স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানেও যাওয়ার কথা রয়েছ। তার জন্যই আটকানো হচ্ছে।"


এর আগে ১৪ জুলাইও নৌশাদ ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেবারও তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। ভাঙড়ের দু'টি থানা, কাশীপুর এবং ভাঙড় থান অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এদিন যদিও বিধননগর কমিশনারেট এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের সংযোগস্থলে আটকে দেওয়া হয় নৌশাদকে। হাতিশালা হয়ে যাওয়ার পথে আটকানো হয় নৌশাদের গাাড়ি।