উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জে (Rayganj) ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল বাস। গুরুতর আহত ১২ জন যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ যাত্রীবাহী ওই বাসটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তেঁতুলতলায় নির্মীয়মাণ টোলপ্লাজার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। বাসে জনা পঞ্চাশ যাত্রী ছিলেন। গুজরাত থেকে বাসটি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মালদা যাচ্ছিল।
গত ১ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) পানাগড়ে (Panagarh) ২ নম্বর জাতীয় সড়কে (National Highway) দুর্ঘটনার (Accident) খবর প্রকাশ্যে আসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডে উল্টে যায় ট্যাঙ্কার। হলদিয়া থেকে দুর্গাপুর হয়ে নেপাল যাওয়ার পথে, সকাল ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনটি ক্রেনের সাহায্যে ট্যাঙ্কারটিকে তোলা হয়। চালক, খালাসি আহত হন। চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
এদিন ভোর নাগাদ একটি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু নম্বর জাতীয় সড়কের রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডে রাস্তার ধারে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ পৌঁছে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় তিনটি ক্রেনের সাহায্যে ওই ট্যাংকারটিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়।
পুলিশের অনুমান ভোর রাত্রে চালক ঘুমিয়ে পড়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দুর্ঘটনায় খুব বড়ো কিছু হতাহত না হলেও চালক এবং খালাসী অল্পবিস্তর আহত হয়। ট্যাঙ্কারটি হলদিয়া থেকে পানাগড় বাইপাস ধরে দুর্গাপুর হয়ে নেপাল যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি মালদার (Malda) রতুয়াতেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার (Accident) খবর প্রকাশ্যে আসে। বাইক-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু। শীতের রাতে এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা ঘটনা। জানা গিয়েছে, সামসির দিকে যাওয়ার সময়, বাইকের সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা লরির সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালক দীপ সাহার। গুরুতর জখম আরেক আরোহী কিষাণ মণ্ডলকে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ঘাতক লরিটিকে রতুয়া থানার পুলিশ আটক করলেও, তার চালক পলাতক।