নয়াদিল্লি : করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি, ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা বাড়ছিলই!  কর্ণাটকে দুই ওমিক্রণ আক্রান্তের হদিশ মিলেছিলই ! আক্রান্তদের একজন ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা। তবে তিনি ইতিমধ্যেই দুবাইয়ে চলে গিয়েছেন। এবার উদ্বেগ বাড়িয়ে হদিশ মিলল বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে আরও কোভিড আক্রান্তের। 


বৃহস্পতিবার ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান  "ঝুঁকিপূর্ণ" দেশগুলি থেকে আরও বহু যাত্রী। তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হয়।  যাঁর মধ্যে  ছয়জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে । তার মধ্যে ২ জন এসেছেন লন্ডন থেকে। একজনের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের ইতিহাস আছে। তিনি জোহানেসবার্গে ছিলেন। এবার তাঁদের শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানা যাবে জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের পর। National Centre for Disease Control-এ পাঠানো হয়েছে নমুনা। তবে কি  ভারতে ঢুকে পড়ল ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ ওমিক্রনে আক্রান্ত আরও যাত্রী!

আরও পড়ুন :


'ওমিক্রনে মৃত্যু হয়েছে এমন খবর নেই ! গণ হিস্টিরিয়া শেষ হোক' বলছে WHO


ভারতে ইতিমধ্যে কর্ণাটকে ওমিক্রনে আক্রান্ত দু’জনের হদিশ মিলেছে! আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে একজন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসেন। আরেকজন কর্ণাটকেরই বাসিন্দাকর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। ৬৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে আসেন। তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ার পর আইসোলেশনে রাখা হয়। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ২৭ নভেম্বর তিনি ভারত ছেড়ে দুবাইতে চলে যান! তাঁর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসেছিলেন ২৪ জন এবং পরোক্ষ সম্পর্কে ২৪০ জন। তাঁদের প্রত্যেকের করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

এছাড়াও কর্ণাটকে আরও একজন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ৪৬ বছর বয়সী ওই স্থানীয় ব্যক্তির কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। তাহলে তিনি কি করে ওমিক্রন আক্রান্ত হলেন? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


 নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে    বিশ্বে প্রথম ‘ওমিক্রন’-এর হদিশ পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ২৯ দেশে ৩৭৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সূত্রের খবর, 
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম যাঁর শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯ নভেম্বর। 


আর ভারতে যে দু’জনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি মিলেছে তাঁদের একজন ভারতে আসেন ১১ নভেম্বর আর অপরজন আসেন ২০ নভেম্বর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এখনও পর্যন্ত যে কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণের ক্ষমতা অন্যগুলির থেকে কয়েকগুণ বেশি। এই পরিস্থিতিতে দেশে ছড়িয়েছে আতঙ্ক! যদিও কেন্দ্রের দাবি, আক্রান্তরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


সূত্রের খবর, ভারতে যে দু’জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী।  এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া ‘বিপজ্জনক’ দেশগুলি থেকে যাত্রীদের ওপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্র।