সুদীপ চক্রবর্তী, চোপড়া(উত্তর দিনাজপুর) : চা বাগানের হাজার হাজার চা-গাছ কেটে উপড়ে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট চা বাগান বন্ধ করে দিলেন কর্তৃপক্ষ। ফলে, কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার কয়েকশো চা শ্রমিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকার ইছামতি চাবাগানে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত চা বাগান বন্ধ রাখা হবে।
এর আগে একাধিকবার ফলন্ত চা বাগিচা থেকে চায়ের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া এবং উপড়ে ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছামতি চা বাগানের জিয়াগুড়ি ডিভিশনের ৭ নম্বর সেকশনের একটি চা বাগান থেকে কয়েক হাজার চায়ের গাছ কেটে নিয়ে গেছে। কয়েক হাজার চায়ের গাছ উপড়ে ফেলে দুষ্কৃতীরা।
এরপর শুক্রবার সকালে ইছামতি চা বাগিচায় চায়ের পাতা তুলতে আসেন শ্রমিকেরা। তাঁরা দেখেন, চা বাগান একদম ফাঁকা। একটি চায়ের গাছও নেই। খবর দেওয়া হয় বাগান কর্তৃপক্ষকে।
ইছামতি চা বাগানের জিয়াগুড়ি সেকশনের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বলেন, দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে চা বাগানের সমস্ত গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার গাছ উপড়ে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বহুবার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আজ দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দাবি, যতক্ষণ না পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করছে, ততক্ষণ এই চা বাগান বন্ধ করে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে চা পাতা তোলা (Tea Plucking) নিয়ে সংঘর্ষে এক বালককে গুলি করা হয়। জানা যায়, ইসলামপুরের (Islampur) একটি চায়ের জমিতে ভাগাভাগি করে চাষ করেন এলাকার বাসিন্দারা। কে কতটা জমিতে চাষ করবেন সেই নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। এনিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ঝামেলার মাঝেই চলে গুলি। এই গুলি একটি ১০ বছর বয়সী বালকের ডানদিকে বুকে লাগে।