সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: গোপনসূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমানে বেআইনি বিদেশি মদ উদ্ধার করল উত্তর দিনাজপুর জেলা আবগারি দফতর। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের বারোদুয়ারী এলাকায় একটি বাড়ির গুদাম ঘর থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো পেটি মদ উদ্ধার করা হয়। গোটা অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা আবগারি দফতরের অতিরিক্ত সুপার সৌভিক বসাক। পাশাপাশি এলাকার আরও একটি গুদামঘরে তল্লাসি চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। যদিও সেই গোডাউনে মদ উদ্ধার হয়নি। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের অনুমান তল্লাসির খবর পেয়ে আগেভাগেই মদেরপেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দফতরের  অতিরিক্ত সুপার সৌভিক বসাক বলেন, তল্লাশি চালিয়ে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মদ আসল না নকল তা জানতে নমুনা পাঠানো হবে ল্যাবরেটরিতে।


কিছুদিন আগেই  পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেই নকল মদ নির্মানের খবর এসেছিল দাবি করেছিল বিহার পুলিশ। অভিযুক্ত নেতাকে জেরা করে এই তথ্য জানার পর, তাঁর শিলিগুড়ির বাড়িতে অভিযান চালায় বিহার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করে স্পিরিট বোঝাই ৯০টা ড্রাম, কাচের বোতল বোঝাই ৩০টা কার্টন ও ৫০টা খালি ড্রাম। পুলিশের দাবি, তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া স্পিরিটের বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। বিহারে মদ পাচারের অভিযোগে ১৯ জুলাই বিহার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।


ভোটের আগে রাজ্যে কালো টাকা এবং বেআইনি মদ যাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং ভোটের সময় সেগুলি যাতে কোনওভাবেই অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার না হয় তার জন্য তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেইসব কালো টাকার মালিককে বা কারা, জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডি জি গঙ্গেশ্বর সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন । নির্বাচন কমিশন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে কে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এ ব্যাপারে কাউকে রেয়াত করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এসে জানিয়েছিল যে তারা কড়া হাতে এই নির্বাচন পরিচালনা করতে চান। সুষ্ঠু এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। রাজ্যে বাজেয়াপ্তকরণ তালিকা যে খুব একটা সন্তোষজনক নয় তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।