সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলায় খুন হতে হল সন্তানকে! উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে ইটভাটা থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তি ও শিশুর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন। 


মা...। ছোট্ট এই শব্দ, কিন্তু অনন্ত স্নেহের আধার। সন্তানের সবচেয়ে বড় নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু সেই মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলার জেরেই কি খুন হতে হল সন্তানকে? এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। মৃত শিশুর কাকা বলেছেন, "মিখাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওর মায়ের। দুজনকে দেখে ফেলেছিল।" 


পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল সাত বছরের শিশু।  তারই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ইটভাটা থেকে। মৃত শিশুর মামার বাড়ি সূত্রে খবর, সোমবার সেখানে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই আশ্চর্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। ওই দিন বিকেলেই থানায় নিখোঁজ ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। 


পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা জানতে পারেন, মহম্মদ মিখাইল নামের এক গ্রামবাসীর সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল শিশুকে। বৃহস্পতিবার রাতে মহম্মদ মিখাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় শিশুকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। নিজেকে শিশুর মায়ের প্রেমিক বলে দাবি করেন তিনি। 


এরপর শুক্রবার রাতে ধৃত মিখাইলকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। ইটভাটা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শিশুর মৃতদেহ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার  পুলিশ সুপার  সানা আখতার বলেন, "সোমবার বিকেলে নিখোঁজ ও অপহরণের অভিযোগ মামলা দায়ের। জানা যায়, শেষ মিখাইলের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। তারপরে মিখাইলকে গ্রেফতার। মিখাইল নিজে বলল, ও ছেলেকে মেরে দিয়েছে। সেই স্টেটমেন্ট অনুযায়ী বডি রিকভার করলাম।" 


মৃত শিশুর মাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার শ্বশুরবাড়ি করণদিঘির কামারতোড় গ্রামে। স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দপুরে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।