কলকাতা: করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) এখনও সংকটজনক। শুক্রবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সেই জন্য তিন প্রধানে খেলা এই প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।


করোনায় আক্রান্ত প্রাক্তন ফুটবলারের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। ভেন্টিলেশনের সাহায্যে প্রাক্তন এই ফুটবলারের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ থেকে ৯৮ শতাংশ থাকছে। অসংলগ্ন কথাও বলছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রক্তচাপের পরিমাণও স্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রেও কৃত্রিম প্রক্রিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়েছে।


করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার (kolkata) একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (surajit sengupta)। এই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। ময়দানের এমনকী একটা সময়ের দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এছাড়া কলকাতার দুই প্রধানে খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। 


সম্প্রতি, প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। একবালপুরের নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন সুভাষ ভৌমিকও। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। ময়দানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। খেলেছেন মারডেকা কাপেও। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ছাড়াও গোয়ার একাধিক ক্লাবের কোচ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ময়দানে শোকের ছায়া। 


ডাক্তার অজয় কৃষ্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুরজিৎ। এ ছাড়াও তাঁর দেখভাল করছেন বিভিন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পালমোনোলজিস্ট এবং অন্যান্যরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।


সুরজিৎ সেনগুপ্তর ইতিমধ্যে বাইপাস হয়ে গিয়েছে। হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি সমস্যা রয়েছে ফুসফুসেও। যে কারণে কিছুটা উদ্বেগে এখনও কাটেনি। দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকা সুভাষ ভৌমিকের শরীরেও শেষ সময়ে থাবা বসিয়েছিল করোনা। বয়সজনিত কারণে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে নিয়েও তাই চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। যতক্ষণ না তিনি পুরো সুস্থ হচ্ছেন। কিংবদন্তি এই উইঙ্গারের আরোগ্য কামনা করছে বাংলার ফুটবল মহল।


ডিআরএসের সুবিধা পেলে এক লক্ষ রান করতেন সচিন! বলছেন প্রবল প্রতিপক্ষ