সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ : উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) কেটে ফেলা ফসলের গোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা (Farmers)। যার জেরে জেলা জুড়ে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক।


দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন-


নভেম্বরের শেষ। আঘ্রাণের শুরুতেই কেটে নেওয়া হয়েছে ফসল। সেই জমিতে এখন দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। ফসলের গোড়া অর্থাৎ কেটে ফেলা ফসলের অবশিষ্টাংশ জমিতেই পুড়িয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানার পর, এবার শীতের শুরুতে উত্তর দিনাজপুরেও দেখা গেল এই ছবি। সরকারি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে চলছে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কাজ।


রায়গঞ্জের কৃষক বিপুল বর্মন বলেন, নিষিদ্ধ তো কী করব ! সরকারিভাবে বলছে কি না আমার জানা নেই। কাল ভুট্টা লাগাব তাই ভাবলাম পুড়িয়ে দিই।


বিঘার পর বিঘা জমিতে এভাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোয় বাড়ছে দূষণের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশের পাশাপাশি, ক্ষতি হচ্ছে চাষের জমির। পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ রায় বলেন, কিছু কেমিক্যালস বেরিয়েছে যাতে খড়গুলোকে ডিকমপোজ করা যায়। সেগুলো সারে পরিণত হতে পারে। কিন্তু অজ্ঞতা কাজ করছে। আগে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।


কৃষকদের দাবি, ফসলের গোড়া পোড়ানো নিয়ে তাঁদের সতর্ক করা হয়নি।


যদিও একথা মানতে নারাজ প্রশাসন। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, আগে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু, এটা এখন ব্যাপকভাবে হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকছে। সতর্কতা মেনে পোড়ানো হচ্ছে না। আমরা চাষিদের সতর্ক করব।
 
পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও উত্তর দিনাজপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কাজ। উদ্বেগে পরিবেশবিদরা।


দিল্লিতে দূষণের অন্যতম কারণ এই ফসল পোড়ানো। আর এর জেরে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহরের তকমা সেঁটে রয়েছে দিল্লির গায়ে। তবে, শুধু ফসল পোড়ানোই নয়, রাজধানীর বুকে দূষণের পেছনে রয়েছে আরও একাধিক কারণ। তার মধ্যে রয়েছে- গাড়ি নির্গত ধোঁয়া, দীপাবলির বাজি-সহ বিভিন্ন কারণ। সম্প্রতি সংলগ্ন নয়ডার জোড়া টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, রাজধানীর বুকে দূষণের আরও ভয়াবহ অধ্যায় শুরু হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হয়।


আরও পড়ুন ; ধুলোর মেঘ দিল্লির আকাশে, জল-বাতাসে মিশছে ক্ষতিকর, সূক্ষ্ম কণা, বাড়বে যক্ষ্মা-ক্যান্সার!