সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে তীব্র সংঘর্ষ চোপড়াতে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে চলল ছররা গুলিও। গুলিচালনার কারণে ১৩ জন জখমও হয়েছেন বলে খবর।


চা বাগানের মালিকপক্ষ এবং আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার পেয়ারেলাল চা বাগান। এদিন গুলি চালনায় যে ১৩ জন জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চোপড়া থানার পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী।                                                     


উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার আমবাড়ি এলাকায় পিয়ারিলাল চা বাগান। সোমবার সকালে এই বাগানেই গুলি চলে। বাগান শ্রমিকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, শ্রমিকদের অন্ধকারে রেখে বছরখানেক আগে চা বাগানের মালিকানা বদল হয়। তারপর থেকে বাগান লাগোয়া জমি থেকে আদিবাসী শ্রমিকদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে নতুন মালিক। এদিন মালিকপক্ষের মদতে দুষ্কৃতীরা বাগান শ্রমিকদের ওপর গুলি
চালায় বলে অভিযোগ।                                                                        


ছররা গুলিতে জখম হন ১৩ জন বাগান শ্রমিক। এক জখম শ্রমিকের আত্মীয়া চম্পা হেমব্রম বলেন, 'বাপ দাদাদের জমিন ছিল এখানে...আমরা থাকছি...কোম্পানি টুকরো টুকরো করে বিক্রি দিয়েছে মাফিয়াকে...আগেরবারও গুলি চলেছিল...পুলিশ প্রশাসন কিছু করেনি।' এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তির-ধনুক নিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন আদিবাসীরা। বাগান কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অশান্তি জিইয়ে রাখার দায় প্রশাসনের ঘাড়েও চাপিয়েছেন আদিবাসীরা। আদিবাসী জমিরক্ষা কমিটির মুখপাত্র রোহিরা সোরাও বলেন, 'এটা আদিবাসীদেরই জমি। এর আগে এসপি অফিসে বৈঠক হয়, সুরাহা হয়নি। আজ পুলিশের সামনেই আদিবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। এর নিষ্পত্তি চাই।'


পুলিশের সামনেই গুলি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে কেটে দেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার এসপি যশপ্রীত সিং। এই ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন: তপ্ত শীতলকুচি কলেজে ঝরল রক্ত, শিরোনামে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'