পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পুলিশের কড়া অবস্থানের কথা বুঝিয়ে দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আইনত পুলিশ যেখানে গুলি চালাতে পারে সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, অভিযুক্ত যদি তৃণমূলের হয়, তাহলে পুলিশের এই কড়া অবস্থান দেখা যাবে তো?


গোয়ালপোখরের এনকাউন্টার: পুলিশের কড়া অবস্থানের কথা বুঝিয়ে দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। তাঁর মুখে শোনা গেল 'এনকাউন্টার' থেকে 'জিরো টলারেন্সে'র প্রসঙ্গ। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে, পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়া সাজ্জাক আলম। পুলিশের দাবি, শনিবার, সাত সকালে, বাংলাদেশে পালানোর সময় পুলিশকে দেখে গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় খুনের মামলায় পলাতক বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলমের। গোয়ালপোখরে দুই পুলিশ গুলিতে জখম হওয়ার পরই উত্তরবঙ্গে গিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।




আর, তার ঠিক দু দিনের মাথায় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে পুলিশকে গুলি করে পালানোয় অভিযুক্ত সাজ্জাকের। গতকাল এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, "পেশাদার বাহিনী আর ট্রিগার হ্যাপি বাহিনীর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পেশাদার বাহিনী এবং আইনত পুলিশ যেখানে গুলি চালাতে পারে সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে যে, দরকার হলে করা হবে। প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কখন করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, সেটা আইনে বলা আছে এবং সেটাকে বিধিসম্মত করে, মেনে যেন কাজকর্ম করা হয় সেটাই আমাদের প্রয়াস থাকে এবং সেটাই করা হবে, কিন্তু অপরাধীদের প্রতি জিরো টলারেন্স, আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, সেটা আছে, এটা না যে বাংলায় এনকাউন্টার হয় না বা একটা প্রথম হল।''


সূত্রের খবর পুলিশকে গুলি চালিয়ে উধাও বিচারাধীন বন্দিকে ধরতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার। এরপরই গোয়ালপোখরে গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত সাজ্জাক আলমকে ধরতে অল-আউট ঝাঁপায় পুলিশ। ২ দিনের মাথায়, গোয়ালপোখরের শ্রীপুর সীমান্তে পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ মেলে। বাংলাদেশে পালানোর সময়, ওই দুষ্কৃতীকে ধরতে গুলি চালায় পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশকে গুলিকাণ্ডের পরের দিন পাঞ্জিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক করেন DG রাজীব কুমার, ADG আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম-সহ পুুলিশ কর্তারা। পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমকে ধরার জন্য সময় বেঁধে দেন DG।

আরও পড়ুন: Goalpokhar Encounter: কীভাবে বিচারাধীন বন্দির হাতে অস্ত্র? গোয়ালপোখরের ঘটনায় সাসপেন্ড ৪ পুলিশ কর্মী