কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan)-এর ওপর হামলার ঘটনায় এবার বাংলাদেশ যোগ? জানা যাচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া বিজয় দাস ওরফে মহম্মদ আলিয়ান বাংলাদেশের বাসিন্দা। ঠানের একটি পানশালায় হাউসকিপিংয়ের কাজ করত। হামলার পর থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। বারে বারে করেছিল নাম ও আস্তানা বদল। গ্রেফতারির পরেও নিজের নাম এক এক বার এক এক রকম বলে মহম্মদ আলিয়ান। জানা গিয়েছে তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়াতে। ঠাণে থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কেন এই ব্যক্তি সেফ আলি খানের ওপর হামলা চালাল, সেই বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে জেরা করছে পুলিশ। তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে মুম্বইতে। 


জানা যাচ্ছে,  সেফের ওপর হামলা চালানোর পর, হিরানন্দানি এস্টেটে শ্রমিকদের সঙ্গে থাকছিল হামলাকারী। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পরে বারে বারে ঠিকানা বদল করতে হয়েছিল হামলাকারীকে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা ব্যক্তি ও গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি একই কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, হামলার ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি। গ্রেফতারির সময় বিজয় দাস ঘুমোচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়েই পুলিশ ফোর্স গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কেন হামলা চালাল ওই ব্যক্তি, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


গত ১৬ জানুয়ারি, নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন সেফ আলি খান। ছুরি দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, সেফের ছোট ছেলে জেহ-র ঘরের শৌচাগারে লুকিয়ে ছিল আততায়ী। কিন্তু সে যে কোথা দিয়ে বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিল সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জেহ-র ন্যানি প্রথম তাকে দেখতে পান। ভয় পেয়ে অ্যালার্ম বাজিয়ে দেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে ছুটে পালিয়ে যায় ছোট্ট জেহ। ছুটে আসেন সেফ। জেহ-র কাছে পৌঁছতে না পেতে আততায়ী ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ছুরি বের করে কোপাতে থাকে সেফকে। আহত সেফ পড়ে গেলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে আটক ও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কারা কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে তদন্ত চলছে।


আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: অল্প হাঁটছেন, কথা বলছেন, রয়েছেন কড়া নিরাপত্তায়, কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন সেফ?