সুদীপ চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ: বিএসএফ (BSF) জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুকুরঝারি সীমান্তচৌকি এলাকায়। মৃত বিএসএফ জওয়ানের নাম নিশীথ কুমার দেহারী (৩২)। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বাসিন্দা বিএসএফ-এর ১৭৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান নিশীথ কুমার দেহারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ (Raiganj Government Medical College) হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ (Kaliaganj Police Station)।
শনিবার সন্ধে থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় অনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরায় কর্তব্যরত ছিলেন ১৭৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান নিশীথ কুমার দেহারী। রবিবার ভোররাতে গুলির শব্দ শুনতে পান অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানেরা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তাঁরা ছুটে যান। বর্ডারে বিএসএফ জওয়ান নিশীথ কুমার দেহারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় ১৭৫ নম্বর সীমান্তচৌকিতে। বিএসএফ সূত্রে দাবি, নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বিএসএফ জওয়ান নিশীথ কুমার দেহারী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে সিআরপিএফের (CRPF) ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) সুখমায়, ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত রাজীব মণ্ডলের (Rajib Mandal) মৃত্যু হয়। ৩২ বছর বয়সি রাজীবের মৃত্যুতে রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। জানা যায়, ২০১০ সালে সিআরপিএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন রাজীব। প্রথম পোস্টিংই ছিল কাশ্মীরে। যে কাশ্মীরে সিআরপিএফ-জঙ্গি লড়াই লেগেই থাকত। কিন্তু প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি সেখানে। গুলিতে সহকর্মীর প্রাণ হারানোর ঘটনায় হতবাক সতীর্থরাও।
ওই ঘটনায় গুলিতে জখম আরও ৩ জন জওয়ান। জানা যা্য়, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) ক্যাম্পে এক জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। রাজ্যের বস্তার অঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি জানান, জেলার লিঙ্গমপল্লি গ্রামে সিআরপিএফের ৫০ তম ব্যাটেলিয়নের শিবিরে এক জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় চার জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও তিন জন। এই চার জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন রাজীব মণ্ডল।
আরও পড়ুন: Pashchim Medinipore News: ফের হাতির হানা মেদিনীপুরে, গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু বন দফতরের