পার্থপ্রতিম ঘোষ ও সুদীপ চক্রবর্তী: তৃণমূলের প্রধান খুনে ভিনরাজ্য থেকে ধৃত একাধিক অভিযুক্ত। এবার ওড়িশা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এর আগে হায়দরাবাদ থেকেও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান খুনের ঘটনায় আন্তঃরাজ্য তোলাবাজি চক্র রয়েছে দাবি সিআইডির। যদিও ধৃতরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছে।    


তৃণমূল প্রধান খুনে ফের ভিনরাজ্যে গ্রেফতার। হায়দরাবাদের পর এবার ওড়িশা। ধৃতরা আন্তঃরাজ্য তোলাবাজি চক্রে যুক্ত বলে দাবি সিআইডি। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভরদুপুরে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় পঞ্চায়েত অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া তৃণমূল পরিচালিত পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ রাহিকে। দুটি মোটরবাইকে চড়ে এসে হেলমেট পরা চার দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন প্রধান। তখন আরও দুটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। 


এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ মুস্তাফা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তৃণমূল প্রধান খুনের পিছনে রয়েছে আন্তঃরাজ্য তোলাবাজ গ্যাং। যাদের সফট টার্গেট রাজনৈতিক নেতারা। এর সূত্র ধরে গত মাসে হায়দরাবাদ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে খুনের ৭ দিনের মাথায় শ্যুটার মহম্মদ আলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল একাধিক অস্ত্র। একটি সেভেন এমএম পিস্তল, বাজেয়াপ্ত ৩ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছিল। বিহারের কিষাণগঞ্জে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছিল। 


সম্প্রতি CID-র স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ইসলামপুর পুলিশ জেলার দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে যৌথ অভিযান চালায়।  জানা যায়, তোলাবাজ চক্রের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে বিহার, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানায়। বুধবার বিহারের পূর্ণিয়া থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়ে আসা হয় উত্তর দিনাজপুরে। ধৃতরা যদিও নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত বলেন, 'হাম বেকসুর হ্যায় স্যর...ম্যাঁয় নে কুছ নহি কিয়া স্যর।'


আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় বাতিল ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র


CID-র দাবি, জেলে বসেই তৈরি করা হয়েছিল তোলাবাজির নেটওয়ার্ক। এই চক্র আর কোন কোন রাজ্যে জাল বিছিয়ে রেখেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।