সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : দিনেদুপুরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে খুন এক গৃহবধূ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে গলা কাটা দেহ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়াতেই খুন বলে অনুমান, তদন্তকারীদের। নেপথ্যে কি পরিচিত কেউ? তদন্তে পুলিশ। সূত্রের সন্ধানে আনা হয় পুলিশ কুকুর।


গয়না বাঁচাতে গিয়ে খুন!


দুপুরে বাড়িতে একাই ছিলেন মহিলা। স্বামীর দাবি, অফিসে যাওয়ার পর ফোন করে স্ত্রী জানান, তিনি ব্যাঙ্কে যাবেন, লকার থেকে গয়না বের করে আনবেন। ব্যাঙ্ক থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ির মধ্যে খুন হয়ে গেলেন সেই মহিলা। চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মৃতের নাম, সুপ্রিয়া দত্ত(৪১)। স্বামী ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রপল্লিতে।


নেপথ্যে পরিচিত কেউ ?


মহিলার স্বামী উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস দত্ত। তাঁর দাবি, রোজকার মতো এদিন সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে যান, স্কুলে যায় ছেলে। কয়েক দিন পর সপরিবারে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা। সেইজন্য এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ফোন করে স্ত্রী জানান, লকারে রাখা গয়না আনার জন্য তিনি ব্যাঙ্কে যাবেন। 


পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে মায়ের গলাকাটা দেহ দেখতে পায় ছেলে। তার চিত্কারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আনা হয় পুলিশ কুকুর। মৃতার ঘর লন্ডভন্ড দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়েই খুন হয়েছেন সুপ্রিয়া। তাহলে কি তিনি ব্যাঙ্কের লকার থেকে বের করে আনা গয়নার জন্যই খুন? মহিলা যে লকার থেকে গয়না বের করেছেন, তা কী করে জানল দুষ্কৃতীরা? তাহলে কি নেপথ্যে পরিচিত কেউ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। 


দিনেদুপুরে গৃহবধূকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা।


এদিকে, রাজ্যে এসে রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়ারের (Russian Engineer) অস্বাভাবিক মৃত্যু। চলতি মাসের ৪ নভেম্বর রাশিয়ার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (West Midnapore District) খড়্গপুরের রেশমি মেটালিক্স কারখানায় টেকনিকেল কিছু সমস্যা ঠিক করার জন্য এসেছিলেন গ্যাটুলিন রুসলেন-সহ চারজন। খড়্গপুরের সাহাচকে এলাকায় একটি বহু তলে দুটো কামরায় ছিলেন চারজন রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়ার।


আরো পড়ুন- সংস্কারের জন্য যান নিয়ন্ত্রণ সাঁতরাগাছি ব্রিজে, মাস দেড়েক বিকল্প কোন রাস্তাগুলি ?