সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর : খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছে বলে সতর্ক করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে চিঠি, এমনই দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুরসভার উপ পুর প্রশাসক অরিন্দম সরকার। তাঁর দাবি, এর নেপথ্যে বিরোধীদের হাত অথবা তাঁর নিজের দলের একাংশের চক্রান্ত থাকতে পারে। দলীয় চক্রান্ত নেই দাবি করেছে তৃণমূল। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
'ভাইয়া...আপ সাবধানী সে রহনা!' চিঠির শেষে লেখা আপ কা শুভচিন্তক... অর্থাৎ আপনার শুভাকাঙ্খী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের উপ পুর-প্রশাসক অরিন্দম সরকারের দাবি, তাঁকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছে বলে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়েছে বাড়িতে। সেসময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খামবন্দি চিঠি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ!
নেপথ্যে বিরোধীদের হাত? না কি নিজের দলের একাংশের চক্রান্ত? সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেতা ও উপ পুর প্রশাসক নিজেই। তৃণমূল নেতা ও রায়গঞ্জের উপ পুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার বলেছেন, 'খুনের সুপারি দিয়েছে। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজের দলেরই কেউ এ-কাজ করে থাকতে পারে'। উত্তর দিনাজপুরের বিজেপির সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেছেন, 'শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই হুমকির চিঠি'।
দলের একাংশের দিকে, উপ পুর-প্রশাসকের ইঙ্গিত নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, আমরা বলব, পিছনে যেই থাকুক, দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। এর পিছনে দলের হাত নেই। চিঠিতে একটি গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই গাড়িতে করেই খুনের সুপারি দিতে আসা হয়।
সেই নম্বরের সূত্রে মঙ্গলবার থানায় ডেকে পাঠানো হয় গাড়ির মালিককে। তাঁর দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগে গত ১৪ জুন ও ১৮ অগস্ট রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের অফিস ও রায়গঞ্জ পুরসভায় তাঁর গাড়ির নম্বর ব্যবহার করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁর উপর ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই চিঠি বলে মনে করছেন গাড়ির মালিক। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কে দিল খুনের সুপারি? কেই বা সতর্ক করে চিঠি পাঠাল? সবমিলিয়ে একদিকে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা, অপরদিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবদিক।