সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ফের বিদ্রোহের সুর ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর গলায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের তালিকা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল বিধায়ক। 


কী বললেন বিধায়ক:
ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে তৃণমূল নেত্রীর কাছে পাঠাব। সবকটি নামে অনুমোদন দিতে হবে। না হলে নির্দল হিসেবেই আমার প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে। যাঁরা কাজ করবে তাঁদেরই প্রার্থী করব, ধান্দাবাজদের নয়।'


সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ফের বিদ্রোহী ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এবার পঞ্চায়েতের টিকিট বিলি নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। আব্দুল করিমের হুঁশিয়ারি, তাঁর পাঠানো পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় সিলমোহর না দিলে তাঁদের নির্দল হিসেবে দাঁড় করাবেন। ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, 'আমি লিস্ট পাঠিয়ে দেব। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অ্যাপ্রুভ না করেন, টোটো টোটো অ্যাপ্রুভ করতে হবে, টোটো মানে সবটাই অ্যাপ্রুভ করতে হবে। আমার ব্লকের মধ্যে। আর টোটো অ্যাপ্রুভ না করলে আমি যে ক্যান্ডিডেটের নাম দিয়েছি, তাঁরা দাঁড়াবে...নির্দল হিসেবেই দাঁড়াবে।' নিজের বিধানসভা এলাকায় দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার দাবিও করলেন তিনি। বিধায়ক বলেন, 'আমি ওইরকমই লোককে দেব, যারা কাজ করবে এলাকার জন্য । ধান্দাবাজদের দেব না করতে। এখানে দুর্নীতিমুক্ত আমি পঞ্চয়েত গড়ার চেষ্টা করব।'


তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:
উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, 'বিধায়ক হিসেবে তালিকা পাঠাতেই পারেন, সিদ্ধান্ত নেবে দল।' তিনি আরও বলনে, 'দলীয় টিকিটের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়টি জেলার সাংগঠনিক দেখাশোনার দায়িত্ত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নজরে আনব। তার মাধ্যমেই সুব্রত বক্সীকে জানাব।'


সম্প্রতি ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। হামলার ঘটনায় জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির দিকে আঙুল তোলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সেই সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, নিজেকে বিদ্রোহী ঘোষণা করতেও পিছ পা হননি প্রবীণ বিধায়ক। তিনি বলেছিলেন, 'দেখলাম রিজাইন শুধু দিলে তো কাজ হবে না। আমি সেই থেকে... আমি বললাম যে আমি আজ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আছি, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের বিদ্রোহী এমএলএ হিসেবে থাকব।'


ফের একবার উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল সামনে আসতেই কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি।


আরও পড়ুন: মমতার বার্তার পরেও নানুরে প্রকাশ্যে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', মারধরের অভিযোগ