সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরের (Goalpokhor) মদিনাচকে শ্যুটআউট। ছররা গুলিতে মৃত্যু হল একজনের, গুরুতর জখম হন এক মহিলা-সহ ৩ জন। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১০টা নাগাদ গুলি চলে।


গুলিবিদ্ধ এক টোটো চালকের অভিযোগ, গোয়ালপোখরের জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের মদতে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। যদিও পুলিশের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা রয়েছে ১১জনকে। তৃণমূল (TMC) প্রধানের যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার জেরে থমথমে গোটা এলাকা। ময়ের ব্যবধান মাত্র আড়াই ঘণ্টা। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের পর এবার শ্যুটআউট উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে। মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। আহত হয়েছেন তিন । ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপোখর থানার মাদিনাচক এলাকায়। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাজ্য সড়কের পাশে মাদিনাচকে স্থানীয় লোকজনের ভিড় ছিল। হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাদের ওপর ছড়রা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ আরিফ নামে বছর ২৪-এর এক যুবক। আহত হন এক মহিলা সহ তিন জন। সঙ্গে সঙ্গে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় আরিফকে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, গোয়ালপোখর থানার জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানের সঙ্গে মৃত যুবকের কাকার জমি নিয়ে পুরনো বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরে পঞ্চায়েতের প্রধানের মদতেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। এদিকে, ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গোয়ালপোখর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় গ্রেফতার করা রয়েছে ১১ জনকে। 


এদিকে, আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ও থানার কাছেই  অভিজাত হোটেলের মালিককে গুলি করে খুন। ভবানী ভবনের এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে সিআইডি-র টিম। ঘটনার পর ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আততায়ীরা অধরা। খুনের পর দুষ্কৃতীরা ভিনরাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় রূপনারায়ণ ও ডুবুরডি চেক পোস্টে চলছে নাকা তল্লাশি। গতকাল সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ আসানসোলের আপকার গার্ডেনে নিজের হোটেলেই খুন হন ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভকত। নিরাপত্তারক্ষীকে গান পয়েন্টে রেখে হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় আততায়ীরা। ব্য়বসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষায় গার্ড দেবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ! প্রয়োজনে প্রথা ভাঙছে এই জেলায়