সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ : চড়া দাম ডিজেলের (Diesel Price)। সস্তার বিকল্প তেলে বাস চালাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এই পরিস্থিতিতে ৬৫ শতাংশ বেসরকারি বাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে দাবি উত্তর দিনাজপুর বাস-মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (North Dinajpur Bus and Mini Bus Owners' Welfare Association)। সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা (Passengers are Suffering)।


বড়সড় কোপ পড়েছে মধ্যবিত্ত-চাকুরিজীবীদের PF-এ। হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। হাজার পেরিয়েছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। শুল্ক কমলেও, এখনও ১০০-র ওপরেই পেট্রোল, ৯০-এর ঘরে ডিজেল। এই পরিস্থিতিতে, উত্তর দিনাজপুর বাস-মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ইতিমধ্যেই ৬৫ শতাংশ বেসরকারি বাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে পুরো পরিষেবা। 


উত্তর দিনাজপুর বাস-মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, বিকল্প তেল আমরা সবাই ব্যবহার করতাম। ৩৫% গাড়ি চলছে। দ্রুত সরকারের বেসরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নাহলে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
 
উত্তর দিনাজপুরের বাস-মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জেলাজুড়ে প্রায় ৯৪ টাকায় কিনতে হচ্ছে ডিজেল। অগত্যা, সস্তার বিকল্প তেলে বাস চালাতে হচ্ছে। যাতে অল্প দিনের মধ্যেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। মেরামতির খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে ৪ গুণ।


এনিয়ে বেসরকারি বাস মালিক উৎপল বসাক বলেন, বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু ব্যবহার করতাম। একবছর সার্ভিসিং করলে ৩ বছর চলত। বছরে ২বার সার্ভিসিং করেও চলছে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দেবেন্দ্রনাথ সরকার নামে এক যাত্রী বলেন, বহরমপুর যাব। বাস নেই। আগে গাড়ি মিলত ।


সবমিলিয়ে, পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে ? ভেবে কূল পাচ্ছেন না কেউ।